প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ গোলের উদযাপন নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলেন রিচার্লিসন। গোল হয়েছে ভেবে জার্সি খুলে উদ্দাম উদযাপনের পর জানতে পারেন অফসাইড বাগড়া দিয়েছে তার আনন্দের উপলক্ষ্যে। তবে গত রাতে আর কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি তার সামনে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিষেকে জোড়া গোল করে তার ক্লাব টটেনহ্যামকে এনে দিয়েছেন জয়। ম্যাচের শেষ বাঁশির পর কান্নায় ভেঙে পড়েন এই ব্রাজিল ফরোয়ার্ড।
ব্রাজিলের নোভা ভেনেসিয়ায় বেড়ে ওঠা রিচার্লিসনের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাটাই ছিল স্বপ্নের মতো। আর সেই স্বপ্নপূরণের দিনে যদি দলের জয়ের নায়ক বনে যায়, সেটাও দুই গোল করে, আবেগে ভেসে যাওয়াই স্বাভাবিক।
টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই স্বাগতিকদের ওপর ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করে ফরাসি ক্লাব মার্শেই। বলের দখলে অনেক এগিয়ে থাকলেও অবশ্য গোলের ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। প্রথমার্ধের পুরোটা এই ধারাতেই চলেছে। এটাকে অবশ্য আন্তোনিও কন্তের টটেনহ্যামের ‘ট্রেডমার্ক’ বলা চলে। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের চাপ সামলে দ্বিতীয়ার্ধে প্রতি-আক্রমণ শানানোকে নিজেদের অঘোষিত ‘প্লেয়িং স্টাইলে’ পরিণত করেছে তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মার্শেইয়ের সঙ্গেও একই ধারায় দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করে টটেনহ্যাম। ৭৬ এবং ৮১ মিনিটে দুই গোলে জয় নিশ্চিত করে ফেলে তারা। দুটি গোলেই আসে দলটির নতুন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিচার্লিসনের হেড থেকে। এই মৌসুমে প্রায় ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে এই ব্রাজিলিয়ানকে আরেক প্রিমিয়ার লিগ এভারটন থেকে দলে টেনেছিল টটেনহ্যাম। ক্লাবে যোগ দিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স খেলার স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন রিচার্লিসন, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। অবশেষে নিজের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিষেকেই দলের জয়ে ভূমিকা রেখে সেই কথাই যেন রাখলেন তিনি।
ম্যাচশেষে গ্যালারিতে থাকা তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন রিচার্লিসন। তার এই আবেগঘন মুহূর্ত ছুঁয়ে গেছে নেট নাগরিকদের হ্রদয়।
মার্শেইয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় দিয়ে দুই মৌসুম পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করেছে রিচার্লিসনের দল টটেনহ্যামও।