তোপধ্বনি, কুচকাওয়াজ আর গির্জায় ঘণ্টা বাজানোর মাধ্যমে দেশে দেশে সম্মান জানানো হচ্ছে রানির প্রতি। এরইমধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে বাকিংহাম প্যালেসের চারপাশ। রাজকীয় আয়োজনেই শেষ বিদায় জানানো হচ্ছে রানি ২য় এলিজাবেথকে।
জানা গেছে, অন্তত ১০ দিনব্যাপি এ শেষকৃত্যের আয়োজন চলবে স্কটল্যান্ড ও লন্ডনের প্রাসাদগুলোতে। বালমোরাল ক্যাসল এবং এডিনবরায় শ্রদ্ধা জানানোর পর, লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে হবে রানির মরদেহ। ৪ দিন ওয়েস্ট মিনস্টারে রাখার পর সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে অনুষ্ঠিত হবে প্রার্থনা। এর আগেই শ্রদ্ধা জানাবেন সাধারণ মানুষ ও বিশ্ব নেতারা। এরপরই সমাহিত করা হবে রানিকে।
তিনি রাজ পরিবারের দায়িত্ব সামলেছেন ৭ দশক। ৯৬ বছরের বর্ণাঢ্য এক জীবন তার। তাই ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানও হতে যাচ্ছে তেমনই রাজকীয়। রাজা ষষ্ঠ জর্জের পর কোনো রাজপ্রধানের শেষকৃত্য, তাই রাজসীক শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্ততি চলছে বাকিংহাম প্যালেসে।
রাষ্ট্রের পাশাপাশি রাজপরিবারের উদ্যোগেও আয়োজিত হবে রানীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। একদিকে রানিকে শেষ বিদায় অন্যদিকে নতুন রাজা চার্লসকে বরণ করে নিতে চলছে আয়োজন।
এরইমধ্যে রানির শেষকৃত্য উপলক্ষে ১০ দিনের সম্ভাব্য আয়োজনের পরিকল্পনা তুলে ধরেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। বর্তমানে রানির মরদেহ রয়েছে স্কটল্যান্ডের বারমোলার প্রাসাদে। প্রিয় অবকাশ যাপনকেন্দ্রে শ্রদ্ধা জানানোর পর রানীর মরদেহ নেয়া হবে এডিনবরাতে। সেখানেও রয়েছে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা।
১৩ সেপ্টম্বর রীতি অনুযায়ী ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং আয়ারল্যান্ড সফর করবেন নতুন রাজা চার্লস। এরপর দিন স্কটল্যান্ড থেকে বাকিংহাম প্যালেসে নেয়া হবে রানির মরদেহ। সেখানে রাজপরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নেয়া হবে ওয়েস্ট মিনস্টার হলে। সেখানে সাধারণ মানুষ এবং বিশ্বনেতারা শ্রদ্ধা জানাবেন রানিকে। ২০০২ সালে এখানেই শ্রদ্ধা জানানো হয় রানীর মাকে। যেখানে অংশ নিয়েছিলেন ২ লাখের বেশি মানুষ।
এরপর রানির মরদেহ নেয়া হবে ওয়েস্ট মিনস্টার অ্যাবেতে। সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে সমাহিত করা হবে উইন্ডসর ক্যাসেলে। রানী এলিজাবেথের মরদেহ বহন করতে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ কফিন।