নিত্য পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে নতুন করে বিপাকে পড়েছে বিএনপি। শুধু সভা-সমাবেশেই হামলা নয়, নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরও ভাঙচুর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন দলীয় নেতারা। তাদের দাবি, এসব সংঘাত-সহিংসতায় উল্টো বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আসামি করে এখন পর্যন্ত অন্তত কয়েক হাজার মামলা হয়েছে।
বিএনপির দাবি, গত এক যুগে কমপক্ষে ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। তাই ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেছে দলটি। রাজপথে শক্তি দেখানোর বদলে কমিটি গঠন আর দল গোছানোতে বেশি ব্যস্ত ছিল বিএনপি।
সম্প্রতি ভোলার স্বেচ্ছসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম আর ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের মুত্যুর পর রাজপথে কিছুটা হার্ডলাইনে এসেছে বিএনপি। এর মধ্যে নারায়গঞ্জে গুলিতে শাওন প্রধানের মৃত্যু হলে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। বিএনপির দাবি, এরপর দলের প্রায় সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এনিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, যেসব জায়গায় আন্দোলন হয়েছে প্রতিটি জায়গাকে শ্মশান বানিয়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ পুলিশের সাথে যায়। তারা গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি দেখিয়ে দেয়, ঠিক রাজাকারের মতো। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, শুধু যে গুলি করছে, হত্যা করছে তা নয়। তারা আক্রমণ করছে, আবার তারাই মামলা করছে।
এদিকে, ২০১৪-১৫ সালের মামলাগুলো যেসব বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রায় গুছিয়ে এনেছিলেন, তাদের নামে ফের নতুন করে মামলা দেয়া হচ্ছে। নেতাদের দাবি, আগের মতো আবারও গায়েবি মামলা দিচ্ছে পুলিশ। তালিকা করে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে। এমনকি উচ্চ আদালতে জামিন নিয়েও বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেক নেতা-কর্মী।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে জনগণকে ভয়ে রাখতে চায় সরকার। তারপরও এখন আর রাজপথ থেকে পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করছেন তারা। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চমলান কর্মসূচি শেষ হলে প্রতিটি বিভাগ ও মহানগরে জনসভা করবে বিএনপি।