বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী আওয়ামী লীগ সরকার। তারা দেশকে সম্পূর্ণরূপে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। আজকে হাওরের ওপর দিয়ে উড়াল সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে। তারা সেখানে ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এটা নি:সন্দেহে ২৬ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকবে! যেখানে দেশের ২৬ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে সেখানে এ ধরনের বিলাসি প্রকল্প নি:সন্দেহে প্রশ্নবোধক।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের দোতলার মিলনায়তনে “রাজনীতি পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলদেশ” শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উম্মোচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বইটি লিখেছেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মো: হারুন-অর-রশিদ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বইটির লেখক ও কলামিস্ট মো: হারুন অর রশিদ, প্রকাশক জহির দীপ্তি, স্বেচ্ছাসেবক দলের দফতর সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সরদার মো: নূরুজ্জামান প্রমুখ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বইটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী। যখন দেশে ইতিহাস বিকৃতির সুপরিকল্পনা চলছে সেই মুহুর্তে এমন বই লিখে প্রকাশ করা কঠিন কাজ এবং প্রশংসনীয়। সাধারণত এ ধরনের বই গ্রহণযোগ্য হয় যখন নির্মোহভাবে লেখা হয়। লেখক রাজনীতি করলেও ইতিহাসের আলোকে নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লিখেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস অনেক পুরনো। এখানকার মানুষ সবসময় বঞ্চিত হয়েছে। একই সাথে স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। সেই অর্থে বাংলাদেশের ইতিহাস গর্বের। সরকার গায়ের জোরে ইতিহাস বিকৃতি ঘটাচ্ছে। অবশ্য এটা তাদের পুরনো ইতিহাস।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি বইটি পড়েছি। অনেক বিষয়ের সমাহার ঘটেছে। কিছু কিছু লেখকের নিজস্ব মতামতও রয়েছে। যা লেখকের সাহসিকতার প্রমাণ বহন করে। যারা পড়ালেখা করেন তাদের জন্য বইটি কাজে আসবে। বইটি বেশ তথ্যবহুল।