যাত্রী ছাউনির নামে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা অপচয়ের নিন্দা জানিয়েছেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ১০ সেপ্টেম্বর প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুনধারার মোমিন মেহেদী, প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষকবন্ধু আবদুল মান্নান আজাদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা প্রমুখ ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, আপনি জাতির পিতার পরিবারেরই একজন, দয়া করে এমন কোন কাজ করবেন না, যে কাজে জাতির পিতার সম্মান ক্ষুন্ন হয়; তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের নামে অপচয় আর অপরাধ-দুর্নীতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হয়। তিনি নিজের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে চেষ্টা করেছেন নিরন্ন-নিন্মবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষের মুখে হাসি ধরে রাখতে। তারা যেন ভালো থাকে, তারা যেন নিজেদের পরিবার নিয়ে দুর্ঘটনামুক্ত-সমৃদ্ধ দেশে অন্তত দুবেলা দুমুঠো খেয়ে ভালো থাকতে পারে। আজ যখন আপনার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার কাটা ব্যয় করে যেখানে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে ২৩৪ টি যাত্রী ছাউনি নির্মিত হলো, তখন আপনি তার খবরও রাখলেন না! এই যাত্রী ছাউনিগুলোর ৮১%-ই ব্যবহৃত হচ্ছে না অপরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়নের কারণে। আপনার এহেন কর্মকান্ড আগামী তিনগুলো অব্যহত থাকলে শুধু সিটি কর্পোরেশন নয়; দেউলিয়া হবে অত্র এলাকার সাধারণ মানুষও। কারণ আপনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ট্রেড লাইসেন্স ফি বাড়িয়েছেন, ট্যাক্স বাড়িয়েছেন অথচ সেবা বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন। আপনার ৭ ব্যর্থতা হলো- ১. ফুটপাত দখলমুক্ত করতে না পারা ২. রাস্তাগুলোকে দখলমুক্ত করে প্রশস্ত করতে না পারা, ৩. খালগুলো দখলমুক্ত করে পরিষ্কার করতে না পারা, ৪. সাধারণ মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক যন্ত্রণা মশার উপদ্রুব থেকে মুক্তি দিতে না পারা ৫. ময়লা-আবর্জনা সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ ৬. অবৈধ রিক্সাগুলোকে মনিটরিং-এর মাধ্যমে বৈধতার আওয়াতায় আনতে না পারা এবং ৭. সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অপরাধ-দুর্নীতি থামাতে ব্যর্থ হওয়া। আশা করবো বিষয়গুলো অনতিবিলম্বে সুদৃষ্টিতে দেখবেন, সমাধানে নিবেদিত থেকে জনগণকে সত্যিকার্থেই আপনি যে, জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার একজন যোগ্য উত্তরসূরী তা প্রমাণ করবেন। তা না হলে আজ দু একটা ভুল দেখিয়ে দিলেও আগামীতে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।