সার্বভৌম বাংলাদেশের সীমানায় মিয়ানমারের গোলাবারুদ পাওয়ার ঘটনা ‘ভীষণ বেদননাদায়ক’ বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা। তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।
প্রতিবেশী ভারত ছাড়া কেবল মিয়ানমারের সাথে স্থলসীমা বাংলাদেশের। সেই সীমান্তে থেমে থেমে নানা উত্তেজনা বহুবছর ধরেই। ১৫ বছর আগে ২০০৭-এ সেন্টমার্টিনে ঢুকে পরেছিল মিয়ানমারের দুইটি যুদ্ধজাহাজ। ২০১১ তে সীমানার মধ্যে ঢুকে অস্ত্রসহ বিজিবি সদস্যকে অপহরণ করে তারা। আর বান্দরবানের থানচিতে মর্টারশেল ও গোলা পড়ে ২০১২ এবং ২০১৬-১৭ সালে।
২০১৪ সালেও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি সদস্যকে হত্যা করে লাশ নিয়ে যাওয়ার দুঃসাহস দেখায় মিযানমার। ২০১৯-২০ এ সেন্টমার্টিনকে মানচিত্রে নিজেদের অংশ দেখায় তারা। সবশেষ গত একমাসে ৪-৫ বার বাংলাদেশ সীমান্তে পড়েছে মিয়ানমারের গোলাবারুদ।
শাহরিয়ার আলম বললেন, ২০১৭ এর মতো পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই হতে দেবে না বাংলাদেশ। এই মনোভাব নেইপিদোকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে ঢাকা। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক ঘটনায় বারবার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। জবাবে ‘ভুলবশত’ তা হচ্ছে ছাড়া আর কিছু জানাতে পারেনি দূতাবাস। এবার নেইপিদোর বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে নিজেদের অসন্তোষ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও জানিয়েছে ঢাকা।
মিয়ানমারের এই আচরণ জানানো হয়েছে ঢাকার অন্যান্য দূতাবাসগুলোকেও। দেশটি থেকে আর কেউ ঢুকবে না বাংলাদেশে, এ সিদ্ধান্তে সরকার অনড়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রাখা হয়েছে। তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে, একজনকেও যেন সীমান্ত অতিক্রম করতে না দেয়।
মূলত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফের সহিংসতা শুরু হওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে বলে ধারণা অনেকের।