ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর দেশটির নতুন রাজা হিসেবে অভিষেক হয়েছে যুবরাজ চার্লসের।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের সেন্ট জেমসেস প্রসাদে এক অনুষ্ঠানে প্রিন্স চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জকে ব্রিটেনের রাজা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
তৃতীয় চার্লসকে রাজা ঘোষণার আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্ট রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু ঘোষণা করেন।
তৃতীয় চার্লসকে রাজা ঘোষণার পর ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করা শুরু হয়। প্রিন্স উইলিয়াম ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি তা প্রত্যক্ষ করেন।
রাজা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেওয়ার আগে প্রয়াত রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং রানির আদর্শ অনুসরণের অঙ্গীকার করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা পার্কার, প্রিন্স উইলিয়াম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আরও অনেকে।
প্রথমে মৃত রানির জন্য পতাকাগুলো অর্ধনমিত অবস্থায় থাকলেও পরে নতুন রাজার সম্মানে সেগুলো পুরোপুরি উত্তোলন করা হয়। এরপর রোববার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যজুড়ে তৃতীয় চার্লসের রাজা হওয়ার ঘোষণা প্রচার করা হবে, তারপর পতাকাগুলো ফের অর্ধনমিত হবে।
এর আগে, দেশটির নিয়ম অনুযায়ী উত্তরাধিকারী হিসেবে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ব্রিটেনের সিংহাসনে বসবেন চার্লস। নিয়ম অনুযায়ী তিনি চারটি নামের যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবেন। নামগুলো হলো চার্লস, ফিলিপ, আর্থার ও জর্জ।
এখন থেকে ৭৩ বছর বয়সী চার্লস হবেন যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ডসহ ১৪টি দেশের শীর্ষ নেতা।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের ব্যালমোরাল দুর্গে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ৯৬ বছর বয়সী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ৭০ বছর ব্রিটেনের সিংহাসনে ছিলেন তিনি।
ব্রিটেনের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ স্কটল্যান্ডের ব্যালমোরাল দুর্গে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কাটাচ্ছিলেন। সেখানে তিনি ভালোই ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে রানির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা উদ্বেগ জানান। তখন তারা রানিকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। রানির অসুস্থতার খবরে স্কটল্যান্ড ছুটে যান তার স্বজনরা। ১৯৫২ সালে ব্রিটেনের রানি হিসেবে দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেক হয়।