ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর টুইটারে একটি ট্রেন্ড খুব জনপ্রিয় হয়েছে। সেটি হচ্ছে হ্যাশট্যাগ কোহিনূর। টুইটার ব্যবহারকারীরা বলছেন, যুক্তরাজ্য যাতে কোহিনূর ডায়মন্ড ভারতকে ফিরিয়ে দেয়। এছাড়াও ঔপনিবেশিক যুগে বেশ কয়েকটি জিনিস যা যুক্তরাজ্য অন্য দেশ থেকে কেড়ে নিয়েছে সেগুলো নিয়েও চলছে আলোচনা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বস্তু সম্পর্কে নিচে দেখে নিন।
১/ গ্রেট স্টার অব আফ্রিকা ডায়মন্ড
রানির অনেক মূল্যবান সম্পদের মধ্যে ‘গ্রেট স্টার অব আফ্রিকা ডায়মন্ড’ অন্যতম। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম ডায়মন্ড যার ওজন ৫৩০ ক্যারেট। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ কোটি মার্কিন ডলার। ১৯০৫ সালে এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এটি রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড হস্তগত করেন। ‘গ্রেট স্টার অব আফ্রিকা ডায়মন্ড’ এতদিন রানির দখলে ছিল।
২/ টিপু সুলতানের আংটি
১৭৯৯ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হেরে যান বিখ্যাত বীর টিপু সুলতান। সে সময় টিপু সুলতানের আংটিটি ব্রিটিশরা তার মৃতদেহ থেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আংটিটি যুক্তরাজ্যে একটি নিলামে প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ডে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি কিনে নিয়েছেন।
৩/ রোসেটা স্টোন
কোহিনূর ভারতে ফিরিয়ে নেয়ার যেমন আহ্বান এসেছে তেমনি মিশরীয়রা চায় রোসেটা স্টোন। যেটি বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।
আঞ্চলিক অনেক সংবাদপত্রের তথ্য অনুযায়ী, নৃ-বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা প্রমাণ করতে পারবেন যে ব্রিটিশরা রোসেটা স্টোন চুরি করেছে। রোসেটা পাথরটি খ্রিস্টের জন্মেরও ১৯৬ বছর পূর্বের। ঐতিহাসিকদের মতে, ১৮০০ সালের দিকে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পর বিখ্যাত পাথরটি ব্রিটেন নিয়ে নেয়।
৪/ এলগিন মার্বেলস
বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট ও ইতিহাস অনুযায়ী, লর্ড এলগিন গ্রীসের পার্থেননের ক্ষয়প্রাপ্ত দেয়াল থেকে মার্বেলগুলি সরিয়ে লন্ডনে নিয়ে যান। এই কারণেই সেই মূল্যবান মার্বেলগুলিকে এলগিন মার্বেল বলা হয়।
১৯২৫ সাল থেকেই গ্রিস তাদের অমূল্য এই সম্পদ ফিরে পেতে চাইছে। কিন্তু মার্বেলগুলো ব্রিটিশ মিউজিয়ামেই রয়ে গেছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।