শাহরিয়ার মাসুদ
ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং রাশিয়ার তেলের ওপর পশ্চিমা বিশ্ব নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বিশ্ব বাজার এখন অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। এর মধ্যে তাইওয়ান ও চীনের মধ্যকার যুদ্ধ আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ তাইওয়ানও এশিয়া তথা বিশ্বের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাইওয়ানকে মাত্র ১৩ দেশ স্বীকৃতি দিলেও পুরো পৃথিবী তাইওয়ানের ওপর নির্ভর করে। তাইওয়ান সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে। বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টারের যে বাজার তার ৬৪ শতাংশই তাইওয়ানের দখলে। শুধু তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি বিশ্বের অর্ধেকের বেশি সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করে।স্মার্টফোন থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমান,সব জায়গায় দরকার পড়ে এই সেমিকন্ডাক্টারের। দেশটির রপ্তানি আয়ের ৪০% আসে সেমিকন্ডাক্টার থেকে এবং জিডিপির ১৫% নির্ভর করে এর ওপর। এই সেমিকন্ডাক্টরের কারনেই কৌশলগত দিক থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা ইউরোপের দেশগুলোর কাছে তাইওয়ান গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও প্লাস্টিক ও প্লাস্টিক সামগ্রী, অপটিক্যাল, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, যানবাহন, লোহা, ইস্পাত, জৈব রাসায়নক, তেলসহ খনিজ জ্বালানি, তামা, মৎসজাত পন্য, চা, মধু, প্রাকৃতিক বালু ও অন্যান্য আরও অনেক কিছু রপ্তানি করে দেশটি। এসব পণ্যের রপ্তানি বন্ধ হলে বিশ্ব অর্থনীতি বড় ধরনের সংকটে পড়বে।
আবার নিজেদের রপ্তানির মোট ৩০ ভাগই চীনে পাঠায় তাইওয়ান। তাই চীনের যেকোনো নিষেধাজ্ঞাই বড় প্রভাব ফেলে দেশটির ওপর। ইতোমধ্যে তাইওয়ানগামী অনেক বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সমুদ্রপথেও জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।