প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে আবারও ভারতে ফিরেছে ৭০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া চিতা। ‘প্রজেক্ট চিতা’র আওতায় বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির এ প্রাণীর বংশ বিস্তার ঘটাতে নামিবিয়া থেকে বিশেষ বিমানে ৮টি চিতা উড়িয়ে আনা হয়েছে দেশটিতে। আগামী পাঁচ বছরে মোট ৫০টি চিতা আনার পরিকল্পনা রয়েছে ভারত সরকারের। খবর বিবিসি’র।
এর আগে, ১৯৫২ সালে চিতাকে নিজ দেশে বিলুপ্ত প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করে ভারত সরকার। এর পাঁচ বছর আগে, শেষবারের মতো ভারতে দেখা গিয়েছিলো বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রাণীটি।
৭০ বছর পর, আবারও ভারতের মাটিতে পা রাখলো চিতা। সুদূর সেই নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছে এ প্রাণী। এসেছে ৫টি পুরুষ আর ৩টি স্ত্রী চিতা।
এ প্রসঙ্গে নামিবিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রশান্ত আগারওয়াল বলেন, আমরা ভারতে চিতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। চিতা না থাকায় আমাদের ইকোসিস্টেমে দীর্ঘদিন ধরে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল তা পুরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতে চিতার বংশ বিস্তার আবার শুরু হলে আমাদের চারপাশের অন্য প্রজাতির প্রাণিগুলো উপকৃত হবে। চিতাগুলোর আবাসভূমি হবে মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যান। এর আগে, ৩০ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকবে প্রাণীগুলোকে। পর্যবেক্ষণ করা হবে তাদের স্বাস্থ্য এবং মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা।
ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার ডিন যাদেন্দ্রদেব ঝালা বলেন, আশা করছি, আমাদের এই জাতীয় উদ্যানটি চিতার অভয়ারণ্য হবে। এখানে বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ সব একসাথেই বসবাস করে। চিতাগুলো তাদের সাথে কীভাবে মানিয়ে নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দীর্ঘদিন থেকে চিতার বংশ বিস্তারের পরিকল্পনা করছে ভারত। তারই অংশ হিসেবে প্রথম দফায় এলো এই আটটি চিতা। বিভিন্ন দেশ থেকে আগামী ৫ বছরে ৫০টি চিতা আনার পরিকল্পনা তাদের।
ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার ডিন যাদেন্দ্রদেব ঝালা আরও বলেন, এ কাজে অনেক প্রতিবন্ধকতাও ছিলো। ভারত জনবহুল দেশ। চিতার বংশ বিস্তারের জন্য যথেষ্ট বড় জায়গা খুঁজে পাওয়া আমাদের জন্য সহজ নয়। তবে, অনেক সমস্যারই সমাধান হয়েছে। এখন বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনও রয়েছে। তাই চাইলেই মানুষ প্রাণী শিকার করতে পারে না।
এরইমধ্যে, চিতাগুলোর জন্য জাতীয় উদ্যানটিতে কয়েকশ হরিণ ও বুনো শুকর ছাড়া হয়েছে বলে জানা গেছে।