রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে অংশ নিতে গত বৃহস্পতিবারই (১৫ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে অবস্থানরত অবস্থায় তার সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাকিংহাম প্যালেস থেকে প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করেন চার্লস। রানির শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। তার মায়ের মৃত্যুর পর রাজপরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশের জন্যও ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও এদেশের জনগণের প্রতি।
এ সময় প্রয়াত রানিকে একজন মায়ের মতো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কমনওয়েলথের প্রধান হিসেবে অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন রানি। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাজা তৃতীয় চার্লসকে সিংহাসনে আরোহণের জন্যও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই সাথে তার দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ রাজত্ব কামনা করেন।
এ সময় ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী রাজা তৃতীয় চার্লসকে বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী মাসে রাজা তৃতীয় চার্লস এবং কুইন কনসোর্টকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। জবাবে রাজা চার্লস জানান, কুইন কনসোর্ট এবং আমি ৫০তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ সফরের জন্য অনেক অপেক্ষায় ছিলাম। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কারণে দুর্ভাগ্যবশত আমাদের এটি বাতিল করতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে রাজার এক সংবর্ধনায় রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে অংশ নেবেন। একই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। এদিন বিকালে নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে যাবেন তিনি। ২ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াশিংটনে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়াশিংটন থেকে ২ অক্টোবর রওনা হয়ে লন্ডনে যাত্রাবিরতি দিয়ে আগামী ৪ অক্টোবর রাতে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।