কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রতিবেশী এক গৃহবধূকে বেধড়ক পিটিয়ে এক ইউপি সদস্যের পুত্র ও স্ত্রী সাড়ে ১২ লাখ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত গৃহবধু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে উলিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । ঘটনাটি ঘটেছে, (১৫ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় উলিপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চর দুর্গাপুরে। এ ঘটনায় বিবাদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে চর দুর্গাপুর গ্রামের রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাম্মদ মুন্নি আক্তারের (২৭) সাথে প্রথমে একই গ্রামের প্রতিবেশী ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ মোল্লার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের (৫৫) ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য নূর মুহাম্মদ এর স্ত্রী সুফিয়া বেগম তার দুই পুত্র আব্দুস সবুর (২৫) ও শফিকুল ইসলামকে (২২) সাথে নিয়ে গৃহবধূ মুন্নি আক্তার এর বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং তিনজনে মিলে ঘরের ভিতর তাকে বেদম প্রহার করে তার শ্লীলতাহানি ঘটায়।
এ সময় মুন্নি আক্তার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সংজ্ঞা হারান। এ অবস্থায় ক্ষিপ্ত সুফিয়া বেগম তার ছেলেসহ চুলের মুঠি ধরে মুন্নীকে টেনে হ্যাচরে ঘরের বাহিরে আনার চেষ্টা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বৃহস্পতিবার হাটের দিন হওয়ায় মুন্নি আক্তারের স্বামী ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না।
বাসা ফাকা থাকার সুযোগে ইউপি সদস্যের দুই পুত্র স্টিলের বাক্স ভেঙে তার স্বামীর গরু বেচা কেনার ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। খবর পেয়ে মুন্নীর স্বামী ও পিতা বাসায় এসে মুন্নীকে অসুস্থ অবস্থায় উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ এর সাথে কথা হলে ঝগড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তার এক পুত্র শুধু দুইটি থাপ্পর দিয়েছে মুন্নিকে। ট্রাঙ্ক ভেঙ্গে টাকা নেয়ার ঘটনাটি মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন। এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির জানান,এরকম অভিযোগ আসলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে, এমন অভিযোগ পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন দেখতে হবে ।