ঢাকা-বরগুনা রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল প্রকার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বরগুনা জেলা দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহণ পরিচালনা কমিটি।
ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কে যাওয়া-আসার পথে বরিশাল রুপাতলী, বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালীবাস মালিক সমিতির মালিক-শ্রমিকরা দীর্ঘ একমাস যাবত চলাচলে বাধা দেওয়াসহ বাস শ্রমিকদের মারধর করার অভিযোগ এনে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা।
বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সোমবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা-বরগুনা রুটের সকল প্রকার বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। একইসঙ্গে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ এক যুগ ধরে বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে চলাচল করে আসছে ঢাকা-বরগুনা রুটের যাত্রীবাহী কয়েকশ বাস। এক সময় ঢাকা থেকে বরগুনার দূরত্ব ১৫ ঘণ্টার বেশি হলেও পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সেই দূরত্ব কমে আসে মাত্র ৫ ঘণ্টায়। তবে রুট পারমিট না থাকার অজুহাত দিয়ে সম্প্রতি ৫৭ কিলোমিটার বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কে ঢাকাগামী সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বরিশালের রুপাতলী, বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালীবাস মালিক সমিতির মালিক-শ্রমিকরা।
এতে সকল বাস ঘুর পথে যেতে হচ্ছে পটুয়াখালীর সুবিদখালী ও আমতলী ফেরি পার হয়ে। ফলে সময় লাগছে ১০ঘন্টারও বেশি। দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় দুর্ভোগ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সময় কিছুটা বাঁচানোর জন্য ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের কখনো কখনো খেয়ায় উত্তাল পায়রা নদী পাড়ি দিতে হচ্ছে। এতে করে দুর্ভোগ পোহানোর পাশাপাশি পদ্মা সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ রুটের যাত্রীরা।
অভিযোগ উঠেছে, আগস্ট মাস থেকে বরিশাল রূপাতলী, বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালী বাসমালিক সমিতি সিন্ডিকেট করে রুট পারমিটের অজুহাত তুলে বাকেরগঞ্জ-বরগুনা রুটে বাস প্রবেশ করতে দিচ্ছে না দূরপাল্লার পরিবহণ। প্রবেশ করতে গিয়ে প্রায়ই লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন বাসচালকরা। শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার পাশাপাশি কান ধরিয়ে যাত্রীদের সামনে চরম অপমান করার অভিযোগও করেন বাসচালকরা।