ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের সাবিনা-তহুরা-স্বপ্নারা। নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ফাইনাল খেলতে মাঠে নামবে দুই দল।
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি। চলতি আসর নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো মাঠে গড়াচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। যেখানে প্রথম আসরের প্রত্যেকবারই শিরোপার মালা গলায় পরেছিল ভারতের নারীরা।
এই পাঁচ শিরোপা জয়ের পথে ভারত ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল নেপাল এবং বাংলাদেশকে। এবারের টুর্নামেন্টে সেই দুই দলই ফাইনালে মাঠে নামবে। আগের পাঁচ আসরের মধ্যে ৪ বার রানার্স আপ হয়েছিল নেপাল। অন্য একবার রানার্স আপ হয়ে থেমেছিল বাংলাদেশ।
সেই হিসেবে নেপালকে শক্তিশালী মনে হলেও এবারের আসরে বাংলাদেশের মেয়েরা যে উড়ন্ত ফর্মে রয়েছে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে পরিষ্কার ফেভারিট হয়েই মাঠে নামবে সাবিনার দল।
এবারের আসরে গোলাম রাব্বানী ছোটনের দল গ্রুপ পর্বের তিনটি এবং সেমিফাইনাল মিলিয়ে চার ম্যাচে মোট গোল করেছে ২০টি। এরমধ্যে সেমিফাইনালে ভুটানকে তো ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে সাবিনা-ঋতুপর্ণারা।
এর আগে গ্রুপ পর্বে শক্তিশালী ভারত এবং মালদ্বীপকে সমান ৩ গোল এবং পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৬ গোলে। এই চার ম্যাচে বাংলাদেশের ২০ গোলের বিপরীতে প্রতিপক্ষ দল একটি বলও জড়াতে পারেনি বাংলাদেশের জালে। এতটাই আধিপত্য বজায় রেখে খেলেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
এরমধ্যে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন দুই হ্যাটট্রিকে ৮ গোল নিয়ে আসরের সর্বোচ্চ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন।
ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল গ্রুপপর্বে ২ ম্যাচ থেকে ভুটান ও শ্রীলঙ্কার জালে মোট ১০ গোল দেয়। কিন্তু সেমিফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে হারাতে বেশ কষ্ট করতে হয় স্বাগতিকদের। ১-০ গোল ব্যবধানের জয় পায় দলটি।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে নেপালিজরা। তিনবারের দেখায় প্রত্যেকবারই জয় তুলে নিয়েছে দলটি। এবার সেই শিকল ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ে শিরোপা উৎসবে মেতে উঠতে পারে কি না বাঘিনীরা, সেটিই এখন দেখার।