মারুফ সরকার,ঢাকা : পল্লবী থানার পার্শ্বে মিরপুর ডিওএইচএস রোড সংলগ্ন সাদমুসা গ্রুপের সম্পত্তি নিয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্যকারী কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন সাদমুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মোহসিন ।
পাশাপাশি একই অভিযোগে তিনি পল্লবী থানা পুলিশের বিরুদ্ধেও ‘অসহযোগিতার’ অভিযোগ এনেছেন। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ি গ্রুপের অভিযোগ,২য় যুগ্ন জেলা জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষরা তাদের মালিকানাধীন জায়গায় অনধিকার প্রবেশ করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এ ঘটনায় পল্লবি থানায় ভুক্তভোগীরা জিডি করলেও পুলিশ আদালতের নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগে প্রকাশ করেন । লিখিত অভিযোগ পত্রে জানা যায়, ঢাকার বাউনিয়া মৌজাস্থিত পল্লবী থানার পার্শ্বে মিরপুর ডিওএইচএস রোডে সংলগ্ন নালিশী জমিতে বিবাদী ভূমিদস্যু এ.কে.এম আব্দুস সালাম গংদের বিরুদ্ধে ঢাকার ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী ৪২৪/২০২২ নং মোকদ্দমা রুজু করিয়া বিবাদীর ভূয়া ও জাল-জালিয়াতিপূর্ণ ৫৫৩৭ নং সাফ কবলা দলিল এবং সিটি জরিপ নামজারী ৩২৯০৫ নং খতিয়ান বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা রুজু করে ১নং বিবাদীর বিরুদ্ধে ঢাকার ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রার্থনা করিলে বিজ্ঞ আদালত গত ৩১আগষ্ট বাদীপক্ষের দাখিলী কাগজ পর্যালোচনায় আপাত দৃষ্টিতে দেখা যায় বাদীর মামলার গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় নালিশী সম্পত্তির আকার-প্রকৃতি ও পরিবর্তন সংক্রান্তে ১নং বিবাদীপক্ষকে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারন করেন।
কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞার সমন নোটিশ পেয়ে বিবাদীপক্ষ ভূমিদস্যু এ.কে.এম আব্দুস সালাম এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মোঃ তোফাজ্জাল হোসেন ওরফে জামান মাষ্টার গংরা ক্রোধে উন্মাদ হয়ে বাদীর মালিকানাধীন স্বত্ব দখলীয় ভূমি অবৈধভাবে গ্রাস করার কুমতলবে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পল্লবী থানার ওসি এবং এস.আই মোঃ কাউসার মাহমুদের সর্বাত্মক সহযোগিতায় বাদীর বায়া কর্তৃক নালিশী ভূমির চতুর্পাশে ৩০ বছর পূর্বে নির্মিত সীমানা দেওয়াল ভাঙ্গিয়া বাদীর স্বত্ব দখলীয় মালিকানাধীন ভূমিতে ঘর নির্মাণ করেছেন। থানার ওসি এবং এস.আই এর সহযোগিতায় বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আইনের তোয়াক্কা না করে বাদীকে আইনতঃ কোন প্রকার সহায়তা না করে এবং এই বিষয়ে এজাহার গ্রহণ করা সত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করিয়া বরং এ.কে.এম আব্দুস সালামকে অবৈধ, বে-আইনী নির্মাণে সহযোগিতা করে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করেছে। দেশের বৃহৎ করদাতা শিল্প প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি রক্ষার জন্য সাদ মুছা গ্রুপ গত ১৫ সেপ্টেম্বরে আদালতে এ.কে.এম আব্দুস সালাম, মোঃ তোফাজ্জল হোসেন ওরফে জামান মাষ্টার, ইসতেহাক আহেম্মদ (সহকারী কমিশনার ভূমি), সার্ভেয়ার মোঃ নুরুল ইসলাম এবং পল্লবী থানার ওসি ও এস.আই মোঃ কাউসার মাহমুদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ ভঙ্গ করায় শাস্তি প্রদানের জন্য বিজ্ঞ আদালতে ভায়োলেশান মিস মোকদ্দমা নং- ১৯/২০২২ রুজু করিয়াছেন।
ভূমি দস্যুরা ভায়োলেশান মিস মোকদ্দমার সংবাদ পেয়ে জমিতে তাদের অবৈধ ভাবে নির্মিত টিন শেডের পাশা পাশি আজ রবিবার পাকা দেয়াল নির্মান করেছে এবং স্থানিয় সন্ত্রাসিদের থাকার জন্য সাদমুসা গ্রুপের নিরাপত্তা রক্ষিদের পিটিয়ে বের করে দিয়ে তাদের ঘরও দখল করে নেয় । এ বিষয়ে পল্লবি থানার ওসিকে কল দিলে তিনি বলেন পুলিশ কি সারাক্ষন জমি পাহারা দিবে ? জমির বিষয়ে পুলিশ কাজ করেনা ।