বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কে ঢাকা-বরগুনা রুটে বাস চলাচল করতে না দেওয়ায় জেলায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পরিবহন বাস মালিকরা। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি কোনো । এদিকে, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চাকরিজীবীসহ সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পরিবহন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে আজাদ বাবলু। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ঢাকা-বরগুনা রুটে শতাধিক যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। এখনও বরগুনায় ঢুকতে দিচ্ছে না ঢাকার কোনো বাস। মাসব্যাপী চলতে থাকা রূপাতলী-বাকেরগঞ্জ বাসমালিক সমিতির স্বেচ্ছাচারিতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বরগুনার যাত্রীরা।’
এ কে আজাদ বাবলু আরও বলেন, ‘কোনো ফেরি ছাড়া বাকেরগঞ্জ-বরগুনা আঞ্চলিক মহাসড়কটি জেলা শহরে প্রবেশের একমাত্র পথ। গত কয়েক বছর ধরে এই রুটেই নিয়মিত ঢাকা-বরগুনার বাস চলে আসছিল। পুরো আগস্ট মাস ধরে রূপাতলী, বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালী বাসমালিক সমিতি সিন্ডিকেট করে রুট পারমিটের অজুহাতে বাকেরগঞ্জ-বরগুনা রুটে বাস প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। প্রবেশ করতে গিয়ে প্রায়ই লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন বাসচালকরা। শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার পাশাপাশি কান ধরিয়ে যাত্রীদের সামনে চরম অপমান করার অভিযোগও করেন বাসচালকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বরগুনার বাসযাত্রীরা।’
এই নেতা বলেন, ‘রুট পারমিট না থাকার অজুহাতে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কে ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বরিশাল বাস মালিক সমিতি।’
বরগুনার পরিবহন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান টুকু বলেন, ‘বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কে ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস চলাচল করতে না পারায় শুধু যে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, বিষয়টি এমন নয়। বরিশালের বাস মালিক ও শ্রমিকরা এ রুটের যাত্রী ও বাস শ্রমিকদের মারধরও করেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকের কাছে বিচার দিয়েও কোনো সমাধান পাইনি। তাই আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।’
এবিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যারা আজ বরগুনাতে পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন তারা এ বিষয়ে আমাকে কিছুই জানান নাই। যদি জানাতেন তাইলে আমি এ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করতাম।’