ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের ভ্যান চালক রতন মিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আলতাফুর ও আসাদুল হক নামের দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। রতন আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের হেলোডাঙ্গা এলাকার আমেজ মন্ডলের ছেলে। গত শুক্রবার দুধকুমার নদে কোমরে বালু ভর্তি বস্তা বাধা অবস্থায় রতনের লাশ পাওয়া যায়।
হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আলতাফুর ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের হেলোডাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। অপরদিকে আসাদুল হক একই ইউনিয়নের চর বারুইটারী গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে গলায় রশি প্যাঁচিয়ে ভ্যান চালক রতন মিয়া (২৮) কে হত্যা করে কোমরে বালু ভর্তি প্লাস্টিকের বস্তা বেধে দুধকুমার নদে ফেলে দেয়া হয়। তিন দিন পর শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর রতনের লাশ ভেসে ওঠে। রতনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মনে হলে তাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর রতনের বাবা আমেজ মন্ডল বাদি হয়ে দু’জন সন্দেহভাজনকে আসামি করে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রতনের বাবার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর রাতে আলতাফুর ও কামরুল সহ কয়েক যুবক স্থানীয় একটি মুদি দোকানের সামন থেকে রতনকে আন্ধারীঝাড়ের চর বারুইটারী হাফিজিয়া মাদরাসার দিকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে রতন আর বাড়ি ফেরেনি। শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর দুধকুমার নদে রতনের লাশ পাওয়া যায়।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ গত রোববার রাতে মামলা দায়েরের একদিনের মধ্যে চরাঞ্চলে আত্মগোপন থাকা সন্দেহভাজন আলতাফুরকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে রতনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করে। এছাড়া তার স্বীকারোক্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত আরেক সহযোগী আসাদুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসাদুলের নিকট রতন টাকা পেতেন।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, মামলা দায়েরের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে। সোমবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে রতন হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।