z
রাকিবুল হাসান রাকিব,জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের উচ্চ শিক্ষিত-স্বল্প শিক্ষিত নারীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যেগক্তা হয়ে গড়ে তুলেছেন নারীদের মার্কেট। এ মার্কেটের দোকান গুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা-কর্মচারী সবাই নারী। জেলায় এ মার্কেটটি নারীদের স্বাবলম্বী করতে গুরত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে । সহযোগীতার আশ্বাস বিসিক কর্মকর্তার। আর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বলছেন, এখানকার নারীরা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অনেক এগিয়ে গেছে ও স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা।
জয়পুরহাটের পূর্ব বাজারের পৌর মার্কেটে ২য় তলায় মিথিলা ফ্যাশান হাউজ শুরু করেন একজন নারী উদ্যোগতা। তার দেখাদেখি অনন্য নারীরা মোবাইল সার্ভিসিং, বিউটিপার্লার, পোশাক তৈরী এমব্রোটারি, ব্লক বাটিক, হ্যান্ডি ক্যাপ, শোপিচ, কম্পিউটার ,মাশরুম চাষ সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষন নিয়ে গড়ে তুলেছেন দেড় শতাধিক দোকান। এ মার্কেটটি ধীরে ধীরে নারীদের মার্কেট হিসেবে জেলায় বেশ পরিচিত। আরো স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য এসব নারী উদ্যেগক্তারা সরকারের কাছে সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা চান তারা।
নারী উদ্যোগক্তা মার্কেটের ব্যাবসায়ী নাসরিন বেগম বলেন, আমি পড়াশোনা শেষ করে মার্স্টাস কম্পিলিট করে কিছু দিন জবের জন্য ট্রাই করেছি এবং ভালো কিছু পাওয়ার আশায় ছিলাম বিসিএসও দিয়েছি কিন্তু আমার আশা অনুরূপ কোনো চাকরি আমি পাইনি । তখন ব্যাতিক্রম ভাবে চিন্তা করেছি। ব্যাতিক্রম ভাবে কোনো কিছু করা যায় কি না। প্রথমে মিথিলা ফ্যাশান দোকান করেছিলো পরে আমি করেছি আমাদের দেখে অন্য নারীরা উৎসাহিত হয়েছে। যারা পড়াশোনা করেছে বা যারা কম পড়াশোনা করেছে, প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যেগক্তা হয়ে পুরো মার্কেটটিতে নারীরা দোকান করেছে। এখন আমার দুইটা দোকান।
আর এক নারী উদ্যেগক্তা জেমি আক্তার বলেন, এই মার্কেটের প্রতেকটা নারী পেটের তাগিদেই এখানে এসেছে। সংসারে যদি সচ্ছলতা থাকতো এখানে কেউ আসতো না। এ মার্কেটে ১৫৩ টি দোকান আছে। আমরা প্রায় কয়েকশ নারী কর্মসংস্থান খুজে পেয়েছি ও আমরা এখন ভালো আছি। মার্কেটের দোকানে গুলোতে মেয়েদের প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে। সরকার আমাদের নারী উদ্যোগক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দিলে আমরা নারীরা থেমে থাকতাম না। আরো ভালো কিছু করতে পারতাম।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জয়পুরহাটের উপ ব্যাবস্থাপক, লিটন চন্দ্র ঘোষ বলেন প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তা প্রয়োজন হলে আমরা নিয়ম অনুযায়ী দিয়ে থাকি ।
জয়পুরহাট জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক সাবিনা সুলতানা, পূর্বের তুলনায় বর্তমানে জয়পুরহাটের নারীরা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অনেক এগিয়ে গেছেন। আমাদের এখান থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে জয়পুরহাট শহরের পূর্ববাজারে নারীরা উদ্যেগক্তা হয়ে দোকান করে স্বাবলম্বী হয়েছে।