প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের স্থগিত হওয়া চার বিষয়ের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর ফের তা পরিবর্তন করে সংশোধিত সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা হবে ১০-১১-১৩ ও ১৫ অক্টোবর। ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১৬ থেকে ২০ অক্টোবর।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৫৬ মিনিটে শিক্ষাবোর্ড থেকে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ গণমাধ্যমকর্মী ও পরীক্ষার কেন্দ্র সচিবদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ সময়সূচির নোটিশে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলামের স্বাক্ষর রয়েছে।
সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী, ১০ অক্টোবর গণিত (আবশ্যিক), ১১ অক্টোবর কৃষি শিক্ষা (তত্ত্বীয়), ১৩ অক্টোবর রসায়ন (তত্ত্বীয়) ও ১৫ অক্টোবর পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৬ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে স্থগিত চার বিষয়ের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত এ পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ সূচি প্রকাশের তার কয়েক ঘণ্টা পর বেলা তিনটার দিকে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংশোধিত সূচি ফের প্রকাশ করা হয়।
এদিকে নতুন করে সময়সূচি নির্ধারণের পাশাপাশি নতুন করে প্রশ্নপত্র ছাপানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছে শিক্ষাবোর্ড। বুধবার রাতেই শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ নতুন প্রশ্নপত্র প্রণয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কয়েকজন কর্মকর্তা ঢাকায় গেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠে। এ অভিযোগে চার বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড। ওই দিন রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম ভূরুঙ্গামারী থানা ও ইউএনও কার্যালয়ে চার ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মামলা করা হয়। এই মামলায় একটি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিবসহ তিন শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ কর্মকর্তা উপজেলা মৎস্য অফিসার আদম মালিক চৌধুরী। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে আটক শিক্ষকরা হলেন- উপজেলার নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব লুৎফর রহমান, একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক যোবায়ের হোসেন ও রাসেল মিয়া।