ইয়েমেনে বিরল ও জমকালো পেশিশক্তির প্রদর্শন করেছে হুতি জনগোষ্ঠী। এর ভেতর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর অন্তত ৩৫ হাজার সদস্য অংশ নেয়। খবর সিসিটিভি প্লাসের।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী সানায় হয় এ জমজমাট সামরিক কুচকাওয়াজ। বহরে ছিলো গোলাবারুদ বহনকারী ট্রাক, শক্তিশালী ট্যাংক, নিজস্ব হেলিকপ্টার। এছাড়াও, নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো দূরপাল্লার মিসাইল, সমুদ্রপৃষ্ঠে ব্যবহারযোগ্য মাইন ও ড্রোন।
এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে হুতিরা বহির্বিশ্বকে তাদের ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শন করলো। বিশ্ববাসীকে জানান দিলো দূরপাল্লা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা তাদের আছে। ২০১৪ সালে রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর এটাই ছিলো হুতিদের সর্বোচ্চ শক্তিমত্তা প্রদর্শন।
আরব বিশ্বের সবচেয়ে গরিব দেশ ইয়েমেনে গত ৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। ইয়েমেনি সরকার ও হুতিদের ভেতর যুদ্ধবিরতি কয়েক দফায় বাড়ানো হলেও গেল আগস্টে শেষ হয়ে গিয়েছে এর মেয়াদ। বর্তমানে জাতিসংঘ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আবারো বাড়াতে চেষ্টা করছে।
২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে সক্রিয় ইরান সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহী দলটি। তাদের নির্মূলে পরের বছর থেকেই অভিযান চালানো শুরু করেছে সৌদি আরব। ইয়েমেনে রয়েছে, জাতিসংঘ অনুমোদিত সরকারও। এ যুদ্ধ মূলত দেশটির প্রায় ৫৬ শতাংশ সুন্নি ও প্রায় সাড়ে ৪৩ শতাংশ শিয়াদের মধ্যে। তবে ইয়েমেনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলমান সশস্ত্র সংগ্রামের প্রধান বিবদমান পক্ষ জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও বিরোধী হুতি আন্দোলনকারী।