ফরিদপুরের বোয়ালমারি থেকে শনিবার রাতে উদ্ধারের পর রহিমা বেগম (৫৫) ও আরও দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারির কুদ্দুসের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। কুদ্দুস এক সময় খুলনার জুট মিলে চাকরি করতেন ও রহিমা বেগমের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (নর্থ) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ২৭ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর রহিমা বেগম চট্টগ্রাম ও গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরে ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি ফরিদপুরের সৈয়দপুরে কুদ্দুসের বাড়িতে যান। যেই বাড়িতে রহিমা বেগম ছিলেন সেখান থেকে কুদ্দুস ও আরেকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে রহিমা বেগম ওই বাড়িতে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন।
জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনা মহেশ্বরপাশার নিজ বাড়ির দোতলা থেকে নিচে পানি আনতে নিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় মামলার পর পুলিশ ও র্যাব ছয়জনকে গ্রেফতার করে। ১৭ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানা থেকে মামলাটি পিবিআই’কে তদন্তভার দেওয়া হয়।
এদিকে ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে রহিমা বেগমের মেয়েরা ময়মনসিংহের ফুলপুরে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত এক নারীর লাশকে ‘নিজেদের মায়ের লাশ’ দাবি করলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। উদ্ধার হওয়া লাশের পরনের কাপড় দেখে প্রাথমিকভাবে নিজের মায়ের লাশ বলে জানান রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান।
তবে শনিবার রাত পৌনে ১১টায় দৌলতপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক লুৎফুল হায়দার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুরের বোয়ালমারি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করেন।
এদিকে, রহিমা বেগমের স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থাকার ঘটনাকে অপহরণ দাবি করেছে আসামিদের পরিবার। তারা হয়রানির অভিযোগ এনে দায়ের মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
আর আত্মগোপনে থেকে অন্যদের হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে পরিবারের কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও শাস্তি দাবি করেছেন রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজ আল সাদি। তিনি বলেন, ‘যদি আমার পরিবারের কেউ এ ঘটনায় জড়িত থাকে, অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।’