জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৫ শতাংশ কমে আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর)। দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে মার্কিন ডলারের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ক্রমবর্ধমান সুদের হার বড় অর্থনীতির দেশগুলোকে মন্দার দিকে নিয়ে যাবে, এই আশঙ্কায় তেলের চাহিদা কমে গেছে৷ এসব কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামও পড়ে গেছে।
শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল ৪ দশমিক ৩১ ডলার বা ৪ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৮৬ দশমিক ১৫ ডলার। সপ্তাহটিতে ব্রেন্টের দাম কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম ৪ দশমিক ৭৫ ডলার বা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ৭৪ ডলার। সপ্তাহটিতে দাম কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ।
এ নিয়ে টানা চতুর্থ সপ্তাহ অপরিশোধিত তেলের উভয় বেঞ্চমার্কের দর পতনের ঘটনা ঘটল। এটি গত বছরের ডিসেম্বরের পর প্রথমবার ঘটেছে।
এদিন গত ১০ জানুয়ারি থেকে ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত তেলের দাম সর্বনিম্ন এবং ব্রেন্ট তেলের দাম ১৪ জানুয়ারি থেকে সর্বনিম্ন ছিল।
এদিকে, মার্কিন পেট্রোল এবং ডিজেলের দামও পাঁচ শতাংশের বেশি কমেছে। বুধবার সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এর সঙ্গে সমন্বয় করে সুদের হার বাড়িয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স