তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে খেলছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনে জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে এ অভিযোগ করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এশিয়াকে নিয়ন্ত্রণে নিতেই বাইডেনের এ কূটচাল। আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাইপেকে সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। অঞ্চলটিতে আগুন নিয়ে খেলছে মার্কিন প্রশাসন। তারা গোটা বিশ্বকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। তাদের একমাত্র হাতিয়ার একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এই রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইলের শিকার বহু দেশ।
এদিকে, গত ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করেন তিনি। যুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মস্কোকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতেই বিশেষ ওই অধিবেশনটি ডাকা হয়েছিল। তাতে নির্দিষ্ট সময়ের তুলনায় দেরিতে পৌঁছান ল্যাভরভ। এরপর বক্তব্যে তিনি বলেন, রুশ সীমান্তঘেঁষা পূর্বাঞ্চলে নব্য-নাৎসিবাদ কায়েম করতে চাইছে জেলেনস্কি প্রশাসন। সে উদ্দেশ্যেই তারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনের নব্য-নাৎসিবাদের এই ধারণা স্পষ্টভাবেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিমালার লঙ্ঘন। এছাড়া ইউক্রেনীয় সেনারা নিজেদের রক্ষায় বাসিন্দাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, বিষয়টির প্রতিবাদ করার পরিবর্তে ইউক্রেনকে উল্টো অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করছে পশ্চিমারা। তাদের লক্ষ্য স্পষ্ট, তারা এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। এবং তাতে, গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলেও মন্তব্য তার।