বিপিএলের সাত ফ্র্যাঞ্চাইজি বেছে নিল বিসিবি। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির তালিকা প্রকাশ করে বিসিবি। চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, সিলেট, রংপুর ও ঢাকাকে দেখা যাবে পরবর্তী তিন বিপিএলে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সাকিব আল হাসানের মোনার্ক হোল্ডিংসকে দল দেয়নি বিসিবি। তবে নির্ধারিত সময়ে আবেদন না করেও দল পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অতীত রেকর্ড ভালো হওয়ায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বিশেষ বিবেচনায় নির্বাচিত করেছে কুমিল্লাকে।
কুমিল্লা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুরের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা অপরিবর্তিত থাকলেও সিলেট এবং ঢাকার মালিকানায় পরিবর্তন এসেছে। অষ্টম বিপিএলে সিলেটের মালিকানায় থাকা প্রগতি গ্রিন অটো রাইস মিলস লি. ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি। বেক্সিমকো ছিল ঢাকার পূর্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি। ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার বাজারে না থাকায় এবং একই সঙ্গে অনেক বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সূচি থাকায় বেক্সিমকো আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। জেমকন গ্রুপও বিপিএলে নেই। এবার সিলেটের মালিকানায় নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি ফিউচার স্পোর্টস লি.। তবে রংপুরের সঙ্গেই রয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বিসিবির গাইডলাইন অনুযায়ী বিপিএলের আগামী তিন আসরে খেলবে এই সাতটি দল। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল জানান, ফ্র্যাঞ্চাইজি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অতীত অভিজ্ঞতা এবং প্রতিষ্ঠানের সুনাম দেখা হয়েছে। ‘আমরা নিজস্ব প্রতিষ্ঠান দিয়ে যাচাই-বাছাই করে ভালো কোম্পানিগুলোকেই ফ্র্যাঞ্চাইজি করেছি। সাকিবের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কিছু দুর্নাম থাকায়। বিজ্ঞাপনেই আমরা বিষয়টি উল্লেখ করেছিলাম, বিতর্কিত কোনো প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারবে না। মোনার্ক হোল্ডিংসের ব্যাপারে ভালো কিছু পাইনি আমরা।’
টুর্নামেন্টের গাইডলাইনে প্রতি বছরের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দেড় কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা জানান, গাইডলাইন থেকে সরে এসে এখন পুরো তিন বছরের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি একসঙ্গে চায় বোর্ড। এ বিষয়ে গতকালই একটি চিঠি ইস্যু হওয়ার কথা বলে জানান তিনি। এ ধরনের চিঠি ইস্যু করা হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা বেঁকে বসতে পারে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। গাইডলাইন অনুযায়ী টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দেড় কোটি নগদ এবং খেলোয়াড়দের সম্মানী বাবদ জামানত হিসেবে সাড়ে আট কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে।
ক্রিকেটার নেওয়ার বিষয়েও একটি দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিপিএল নবম আসরে দেশের একজন এবং বিদেশি চারজন ক্রিকেটার সরাসরি নিতে পারবে দলগুলো। দশম ও একাদশ আসরে তিনজন করে দেশি ক্রিকেটার রিটেইন করা যাবে। একটি দল দেশি ক্রিকেটার সর্বনিম্ন ১০ আর সর্বোচ্চ ১৪ জন নিতে পারবে। একজন সরাসরি, বাকিদের প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে নিতে হবে। খেলোয়াড়দের সম্মানীও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিদেশি ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ সম্মানী ৮০ হাজার ডলার ‘এ’ ক্যাটাগরিতে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৬০, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৪০, ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৩০, ‘ই’ ক্যাটাগরিতে ২০ হাজার ডলার সম্মানীতে খেলোয়াড় নিতে পারবে প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে। দেশি ক্রিকেটারদের ক্যাটাগরি সাতটি। ‘এ’ ক্যাটাগরির সম্মানী ৮০ লাখ, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৫০ লাখ, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৩০ লাখ, ‘ডি’ ক্যাটাগরি ২০ লাখ, ‘ই’ ক্যাটাগরি ১৫ লাখ, ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে ১০ লাখ ও ‘জি’ ক্যাটাগরিতে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।