পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় এক শিশুসহ আরও সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৩২ জনে দাঁড়াল।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুজয় কুমার রায়, খানসামা থানার ওসি চিত্তরঞ্জন, বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার ও দেবীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকালে বীরগঞ্জ অংশে কাশিমনগর বাদলারঘাটে এক শিশুসহ দুজন, বোদা ও দেবীগঞ্জে দুজন করে চারজন, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আত্রাই নদীর জিয়া সেতুর নিচ থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
মাড়েয়া ইউপি সচিব কামরুজ্জামান জানান, নদীর বিভিন্ন অংশে মরদেহ ভেসে উঠছে। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে এনে রাখছে। সেখান থেকে মরদেহ স্বজনদের কাছে স্থানান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সব মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সৎকারের জন্য পরিবারগুলোকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক সৈয়দ মাহাবুবুল আলম বলেন, সোমবার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী থেকে ডুবুরিদল এসেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস।
উল্লেখ্য, রোববার বিকেলে মহালয়া উপলক্ষে পাঁচপীর, বোদা, মাড়েয়া, ব্যাঙহারি এসব এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় করে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। এ কারণে মাঝ নদীতে পৌঁছানোর পর যাত্রীর চাপে নৌকা ডুবে যায়। এ সময় কিছু মানুষ সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশির ভাগ যাত্রীই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তবে একই দিনই ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।