আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেছেন, রাজনীতিতে সন্ত্রাস আনার ক্ষেত্রে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি হচ্ছে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে সন্ত্রাস আমদানি করেছিলেন। ময়েজউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের পর তিনি শফিউল আলম প্রধানকে রাজনীতিতে এনেছিলেন।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা ও স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আজকে যারা নির্বাচনে আসতে চায় না, তাদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে হবে। এরা আন্তর্জাতিকভাবেই চিহ্নিত সন্ত্রাসী দল। এরা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, ময়েজউদ্দিন সাহেব কর্মীদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। তাকে আক্রমণ করা হয়েছিল। আমার সঙ্গে তার পরিচয় ৬০ এর দশকে। সেসময় তিনি কমলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপসহীন ছিলেন।
স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেন, আমার বাবা সব সময় বলতেন রাজনীতি হলো সমাজসেবার সব থেকে বড় প্ল্যাটফর্ম। তাকে থানার সামনে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। আসামিদের মধ্যে ১৩ জনের থেকে ১২ জনকে বিএনপি রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আর একজন জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য।
শহীদ ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।
এছাড়াও সভায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।