আশরাফুল ইসলাম, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২২ তালিকায় বিতর্কিত কর্মকর্তার নাম সুপারিশের অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে। বিতর্কিত ওই ব্যক্তি হলেন সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আমিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজিসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শ্রেষ্ঠ পদকে এ কর্মকর্তার নাম সুপারিশ করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, জেলার মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল আমিন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নওগাঁ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। সদর উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েন নানা অপকর্মে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে আসা বরাদ্দের প্রতিটা খাত থেকেই উেকাচ নিতে শুরু করেন তিনি।
গত ২৪ এপ্রিল আব্দুল আমিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন সদর উপজেলার মঙ্গলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফুর রহমান। তাৎক্ষণিক অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন জেলা প্রশাসক। এখনো সেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। শ্রেষ্ঠ ঘোষণার আগেই তার নাম সুপারিশের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
মঙ্গলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফুর রহমান বলেন, আব্দুল আমিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করার পর থেকেই আমাকে শোকজসহ স্কুলে এসে নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্যের সুবাদে তিনি সব স্কুল থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করেন। প্রতিটি স্কুল থেকে প্রতি বছর কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা করে চাঁদা নেন।
এছাড়া তিনি বদলি ব্যবসা করেন। জানতে চাইলে সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আমিন বলেন, কর্তৃপক্ষ আমার যোগ্যতা দেখেই আমাকে পদক দেবে। বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে চাঁদা আদায়ে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সঠিক নয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা বলেন, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি নিয়ে আব্দুল আমিনের বিরুদ্ধে কেউ এমন অভিযোগ করে থাকলে সেটি খতিয়ে দেখা হবে।