ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশনে এক কিশোরী (১৪) কে ধর্ষণের অভিযোগে আল আমিন (২৭) নামের এক মোটরসাইকেল চালকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার(২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের ওই ভিক্টিমের মা মোসাঃ নুর নাহার বাদী হয়ে চরফ্যাশন থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী আলামিনকে আটক করে চরফ্যাশন আদালতে সোপর্দ করেছেন।
আটককৃত আলামিন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের পুর্ব মাদ্রাজ গ্রামের হারুন চৌকিদারের ছেলে। সে পেশায় একজন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক।
মামলা সূত্রে জানাযায়, গতকাল সোমবার ভিক্টিম কিশোরীসহ তার মামাতো বোনসহ আল আমিনের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল যোগে তাদের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উপজেরার মোহাম্মদপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে চালক আলামিন পথের মধ্যে তাদেরকে উত্ত্যক্ত শুরু করে এবং কু-প্রস্তাব দেন। মোটরসাইকেলটি সুইজ গেইট এলাকায় আসলে তাদের দুজনকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে টানা হেঁচড়া করতে থাকেন।
ভয়ে তারা আতস্কিত হয়ে ভিক্টিম কিশোরী ও তার মামাতো বোন দুজন দুদিকে ছুটে যান। এসময় অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক আলামিন ভিক্টিমকে দৌড়ে ঝাপটে ধরে ভেড়ি বাধেঁর ঢালে বাবলা গাছের ঝোপের ভিতর নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। পরে তার সাথে থাকা মামাতো বোন বিয়ষয়টি স্থানীয়দের জানান।
পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে ধর্ষক আলামিন টের পেয়ে ভিক্টিমকে বনের মধ্যেই ফেলে রেখে পালিয়ে যান। ভিক্টিম কিশোরী বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার মা ও পরিবারের সদস্যদের জানান। পরে মঙ্গলবার তার মা বাদী হয়ে চরফ্যাশন থানায় মামলা একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোরাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় ওই কিশোরীর মা মোসাঃ নুর নাহার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক আল আমিনকে আটক করে চরফ্যাশন আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। ভিক্টিম তরুনীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।