গত ২৬ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর থেকে সেপ্টেম্বর মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত ৯২ দিনে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে মোট ২০১ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এছাড়া দুই প্রান্ত দিয়ে সেতু পারাপার হয়েছে ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫২টি যানবাহন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ১৫ হাজার ৫৬৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ১৬ লাখ ২৭ হাজার ১৭২ টাকা। এর মধ্যে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ৭৮ কোটি ৫০ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
একই মাসে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ৮৭ হাজার ২০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে পদ্মা সেতুতে। এই সময়ের মধ্যে প্রতিটি যানবাহন থেকে গড়ে এক হাজার ৩৮৯ টাকা করে টোল আদায় করা হয়েছে। এক দিনের হিসাবে ১৬ জুন সেতুতে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পারাপার হয়। আর টাকার অঙ্কে ৮ জুলাই সর্বোচ্চ চার কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা টোল আদায় হয় পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে।
এ ছাড়া সেতু চালুর পর জুন মাসের পাঁচ দিনে গড়ে ২৩ হাজার ৪২১টি মোটরসাইকেলসহ এক লাখ ১৭ হাজার ১০৪ টি যানবাহন পদ্মা সেতু পারাপার হয়। ওই মাসে রাজস্ব আদায় হয় ১০ কোটি ১৪ লাখ এক হাজার টাকা। জুলাই মাসের ৩১ দিনে যানবাহন পারাপার হয় পাঁচ লাখ ৮৭ হাজার ২০টি, ওই মাসে টোল আদায় হয় ৭৮ কোটি ৫০ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা। আগস্ট মাসের ৩১ দিনে সেতু পারাপার হওয়া চার লাখ ১২ হাজার ৩০৩টি যানবাহন থেকে টোল বাবদ আদায় হয় ৬১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসের ২৬ দিনে পদ্মা সেতু পার হওয়া তিন লাখ ৩১ হাজার ৪২৫টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় ৫০ কোটি ৫১ লাখ ৭১ হাজার ৪০০ টাকা।
গত ২৫ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ২৬ জুন থেকে পদ্মা সেতুতে শুরু হয় যান চলাচল। এরপর থেকে নিয়মিত পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল করছে। সেতু উদ্বোধনের পর বদলে যায় রাজধানীর সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বদলে যেতে থাকে এই অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা।
সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুতে যানবাহনের চাপ আরো বৃদ্ধি পাবে। কারণ শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে কালনা সেতু। পদ্মা সেতুতে অতিরিক্ত যানবাহন পারাপার হলে আগামীতে সেতুর রাজস্ব আয় আরো অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।