কিউবাতে আঘাত হেনেছে হ্যারিকেন ইয়ান। এতে পুরো দেশ বিদ্যুৎহীন হয়েছে। দেশটির সরকার এই ঘোষণা দিয়েছে। বুধাবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশের পুরো বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বিপর্যয়ে। দেশটির প্রধান বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির একটিকেও সচল অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়নি। ইয়ানের জেরে এখন পর্যন্ত দুইজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশজুড়ে বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার প্রধান ঘোষণা দেন, দেশব্যাপী বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়ায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ অন্ধকারে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার এক সাংবাদিক জানান, দেশের ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিক সার্কিট পরিষেবার বাইরে ছিল এবং অ্যান্টোনিও গুইতেরাস থার্মো-ইলেকট্রিক পাওয়ার প্লান্ট ‘চালু’ করা যায়নি। কিউবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রিক পাওয়ার প্লান্ট হচ্ছে অ্যান্টোনিও গুইতেরাস। এটা বন্ধ মানে দেশজুড়ে কোনো বিদ্যুৎ নেই।
পিনার দেল রিও-এর বাসিন্দা মায়েলিন সুয়ারেজ সোমবার রাতে বলেন, যখন ঝড় আঘাত হানে, তখন ছিল জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার দিন। তিনি রয়টার্সকে বলেন, আমাদের বাড়ির ছাদ প্রায় উড়ে যাচ্ছিল। আমার সন্তান ও স্বামীসহ তা উড়ে যাওয়া থেকে আটকানোর অনেক চেষ্টা করেছিলাম।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়িতে দেয়াল ধসে ৪৩ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়া সান জুয়ান ওয়াই মারতিনেজে এক ব্যক্তি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
কিউবার প্রেসিডেন্ট ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোতে দ্রুত সাহায্য পাঠাতে ও যথাযত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।