গত দুই বছরে দেশে ৩৬ হাজার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার মাদক জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত বিদায়ী মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অর্জন ও সফলতা তুলে ধরেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, আমার দুই বছর দায়িত্ব পালনকালে মাদক চোরচালান বন্ধে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ তা বৈশ্বিক যুদ্ধ। সারা বিশ্বিই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। কারাগারে থাকা বন্দিদের মধ্যে মাদক মামলার আসামিই বেশি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদকের সমস্যা একটি সামাজিক সমস্যা। সবাইকেই দায়িত্বশীল হতে হবে।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার সন্তানের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া আমার দায়িত্ব, আমাদের শিক্ষকের দায়িত্ব রয়েছে, জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সেভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা বলার সুযোগ নেই। আমরা যখনই খবর পাই, তখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, মাদক অভিযানের সময়ে আমরা আইন অনুযায় দায়িত্ব পালন করি। আইনের বাইরে বিন্দুমাত্র কোনও কিছু প্রয়োগ করি না। প্রচলিত আইন অনুযায় ব্যবস্থা নিই। কোনও ব্যক্তি একটু ধাক্কা দিলো, আর আমাদের সদস্যরা গুলি করে দেবে, বিষয়টা এমন না। যখন যেভাবে যা প্রয়োজন, সেভাবেই প্রচলিত আইনের মধ্যে থেকে কাজ করি।
র্যাব দেশের মানুষের আস্থা ও নির্ভরশীলতার জায়গা করে নিয়েছে। এটা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আমাকে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান হিসেবে মনোনীত করে দেশসেবার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।