প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির বিশেষ ক্যাম্পইন। এ উপলক্ষে বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিকে উজ্জীবিত করতে চাচ্ছি। কারণ নির্ধারিত লক্ষমাত্রায় পৌঁছানো এবং কিছু মানুষ এখনও টিকা নেননি।
অধ্যাপক খুরশিদ আলম বলেন, দেশে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ইতিমধ্যেই অর্জিত হয়েছে। মোট জনগোষ্ঠীর ৯৭ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ, ৯০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এবং ৪১ শতাংশ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছে। এই বিশেষ কর্মসূচি বিশেষ করেই তাদের জন্য যারা এখনও টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেয়া থেকে বাকি রয়েছেন। এছাড়া যারা এখনও টিকার বাইরে রয়েছেন তারা চলমান টিকা কর্মসূচির ভেতরে টিকা নেয়ার জন্য আহ্বান করেন অধ্যাপক খুরশীদ আলম।
বিশেষ এই টিকাদান কর্মসূচি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সপ্তাহকাল চলবে জানিয়ে তিনি জানান, এরপর থেকে আর টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে না। তবে বুস্টার ডোজ চলবে।
টিকা না দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, টিকার পরিমাণের স্বল্পতা রয়েছে, সঙ্গে কিছু টিকার মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। তবে কোন কোম্পানির টিকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, সব টিকা একসঙ্গে আসেনি। ভিন্নভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন টিকা এসেছে। তাই সব টিকার মেয়াদই শেষ হয়ে যাচ্ছে, বিষয়টি এমনও নয়। আর বর্তমানে ৩ কোটি টিকা হাতে রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কোভিড টিকাদান কর্মসূচি কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, টিকা এখনও আমাদের পাইপ লাইনে রয়েছে, কিন্তু হাতে থাকা টিকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো আনা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে, টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়া হবে কিনা প্রশ্নে অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, চর্তুথ ডোজ নিয়ে এখনও কোনও পরিকল্পনা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো নির্দেশনা দেয়নি। যেসব দেশে চতুর্থ টিকা দেওয়া হচ্ছে তারা নিজেদের দেশের প্রটোকল মেনে এটা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি নির্দেশ দেয়া তাহলে তখন সেটা দেয়া হবে।
তিনি জানান, ৫ থেকে ১১ বছর শিশুদের চলমান টিকা আগামী ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে করা বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিতে ৭৮ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছিল বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।