গতকালের বেবিবাম্পের ছবি প্রকাশ করার পর দেশের ‘টক অব দ্য টউন’ এখন চিত্রনায়িকা বুবলী। এই সময়ে বুবলীর মানসিক সাপোর্ট প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী মনিরা মিঠু।
মনিরা মিঠু এখন বুবলীর সঙ্গে ‘চাদর’ নামে একটি ছবির শুটিং করছেন। মঙ্গলবার রাতে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘চাদর’ সিনেমার শুটিং সেট থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট অনুরোধ জানিয়ে মনিরা মিঠু বলেন, ‘শিল্পী যত বড় স্টার হোক, সে একজন মানুষ। আমিও একজন মানুষ। সে যেহেতু অনুরোধ করেছে বিনীতভাবে, আপনারা মনগড়া কিছু না লিখে বরং মানসিক সাপোর্ট দেওয়া উচিত, অনেক বেশি সাহস দেওয়া উচিত।’
মনিরা মিঠু বলেন,‘বুবলীর পেছনে তাকানোর সময়ই নেই। ও অত্যন্ত মেধাবী, মিষ্টি মেয়ে, তার পিছুটান থাকাই উচিত না। এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় তার। স্ট্রেইট এগিয়ে যাও, তোমার সামনে সমস্ত দরজা খোলা।’
মিঠু মনে করেন, বুবলী একজন মেধাবী শিল্পী। ব্যক্তিগত পছন্দের কথা জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘আর ও যেহেতু সিনেমার সেটে আছে, চমৎকার করছে সে। তার ব্যক্তিগত ব্যবহার আমার খুব পছন্দের, তার অভিনয় খুব ভালো, তার নম্রতা, তার বিনয়, তার শিষ্টাচার―এসব আমার খুব পছন্দের।’
বুবলীর এগিয়ে যাওয়া যদি প্রতিবন্ধকতার না হয় তাহলে পুরো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি তার হাতের মুঠোয় চলে আসবে। মিঠু বলেন, ‘ও এগিয়ে চলছে চমৎকারভাবে। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে বলব, ওর মাত্র শুরু, ওর হারাবার কোনো ভয় নেই। এগিয়ে যাওয়ার বিস্তর রাস্তা খোলা আছে। ওকে শুধু আমি এগিয়ে যাওয়া দেখতে চাই। ও একজন শিল্পী, আমি একজন শিল্পী, আমিও চাই ও শুধু এগিয়ে যাবে। ও এগিয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ পুরো ইন্ডাস্ট্রি ওর হাতের মুঠোয় থাকবে। ’
গতকাল ছিলো শাকিবপূত্র আব্রাম খান জয়ের জন্মদিন। দিনটিতে জয়কে নিয়ে স্ট্যাটাস দেন শাকিব খান। এরপরই বেবিবাম্পের ছবি প্রকাশ করেন বুবলী। ছবিটি প্রকাশের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনের পর শাকিব খানের সন্তানের মা হওয়ার গুঞ্জনের পালেও দিনটিতে নতুন করে হাওয়া দেন বুবলী। ছবির ক্যাপশনে লিখেন ‘আমি ও আমার জীবন’।
পরে চাদরের সেট থেকেই গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন বুবলী। মা হওয়ার গুঞ্জন প্রসঙ্গে বুবলী বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। বুবলী সরাসরি বলেন, ‘কিছু ব্যাপার তো আছেই।’
বুবলী বলেন, ‘আমি একজন মুসলিম, তো এটুকুই বলব আমাদের যা হয়েছে খুব শালীনভাবে হয়েছে। এ বিষয়ে অনুরোধ করব, কেউ যেন খারাপ কিছু না ছড়ান এবং আমি কয়েকটা দিন সময় চাইছি। কয়েক দিনের মধ্যেই আমি বিষয়টা ক্লিয়ার করে দেব। আর এটি আমার জন্য খুবই সেন্সেটিভ একটি বিষয়।’