গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর কালনা পয়েন্টে মধুমতি নদীর ওপরে নির্মিত দেশের প্রথম ছয় লেনের মধুমতি সেতুর উদ্বোধনের অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে আজ।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ সেতুর উদ্বোধন করবেন। এর পর দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেতুটি।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) শ্যামল ভট্টাচার্য উদ্বোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সেতুর উদ্বোধনের খবরে উচ্ছ্বসিত গোপালগঞ্জ ও নড়াইলসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার মানুষ।
এ সেতু চালু হলে নড়াইল, যশোর, বেনাপোল স্থলবন্দর ও খুলনা থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারী পরিবহন মাগুরা-ফরিদপুর হয়ে যাতায়াতের পরিবর্তে কালনা হয়ে যাতায়াত করতে পারবে। এতে বেনাপোল ও যশোর থেকে ঢাকার দূরত্ব ১১৩ কিলোমিটার, খুলনা-ঢাকার দূরত্ব ১২১ কিলোমিটার এবং নড়াইল-ঢাকার দূরত্ব ১৮১ কিলোমিটার কমবে।
সেতুটি এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যাপকভাবে সহজ করবে।
সওজের ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাইকার অর্থায়নে এ সেতু নির্মিত হয়েছে। জাপানের টেককেন করপোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড যৌথভাবে এ সেতুর ঠিকাদার।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, সেতুর মাঝখানে বসানো হয়েছে ১৫০ মিটার স্টিলের দীর্ঘ স্প্যান। নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) এ স্প্যানটি তৈরি হয়েছে ভিয়েতনামে। ওই স্প্যানের উভয় পাশের অন্য স্প্যানগুলো পিসি গার্ডারের (কংক্রিট)। ছয় লেনের এ সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ।
চারটি মূল লেনে দ্রুতগতির ও দুটি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে। সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১০ মিটার। উভয় পাশে সংযোগ সড়ক ৪ দশমিক ২৭৩ কিলোমিটার, যার প্রস্থ ৩০ দশমিক ৫০ মিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা।