খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ১৮ ব্যাচের শিক্ষা সমাপণীর কনসার্টে মাদকের ছড়াছড়ির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বহিরাগত এবং খুবি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকসহ মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনায় সোমবার প্রতিষ্ঠানের ৭ শিক্ষার্থীকে শোকজ করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ হল থেকে মদের বোতল, গাঁজাসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ইউআরপি এবং এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের দুই শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গিয়েছিল।
শোকজ করা শিক্ষার্থীরা হলেন, সৈয়দ জাফর সাদিক (এইচআরএম ১৮ ব্যাচ), তুফানুল সাদাত তাহা (এইচআরএম ১৮ ব্যাচ), জুবায়ের আহমেদ ইয়াসিন (ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং ১৮ ব্যাচ), মিজানুর রহমান (আর্কিটেকচার ১৮ ব্যাচ), শীর্ষেন্দু মালাকার (বাংলা ১৮ ব্যাচ), বহ্নি শিখা চৌধুরী (১৮ ব্যাচ), সামিউল মুরাদ (সমাজবিজ্ঞান ১৬ ব্যাচ)।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে গত ২৯ অক্টোবর ক্যাম্পাসের হাদি চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সঙ্গীত পরিবেশন করেন নগরবাউল (জেমস), ওয়ারফেজ এবং আর্টসেল। কনসার্ট উপলক্ষে ক্যাম্পাসের বহিরাগত এবং খুবি শিক্ষার্থীরে কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক উদ্ধার করা হয়। প্রায় অর্ধশত বহিরাগতদের মাদকসহ আটক করে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীদের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় সবার নাম-ঠিকানা রেখে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষার্থীর কাছে মাদক পাওয়ার ঘটনায় সোমবার তাদের শোকজ করা হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন সোমবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, কনসার্টের রাতে অন্তত অর্ধশত বহিরাগতদের মাদকসহ আটক করার পর পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থীকে সোমবার শোকজ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ৭ জন শিক্ষার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজ লেটারে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে।