ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদকের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সরেজমিন তদন্ত করে।
দলিল লেখকদের অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য করতেন সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান বিপ্লব ও সাধারণ সম্পাদক আ. কুদ্দুস— সম্প্রতি এমন সব অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল।
বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দেন তিনি।
এ অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগে বলা হয়েছে, দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি ছাড়া দলিল রেজিস্ট্রি করেন না সাব-রেজিস্ট্রার মো. রায়হান হাবীব। একেকটি দলিল করতে গিয়ে সরকারি খরচের অতিরিক্ত ১০ হাজারের বেশি টাকা গুনতে হয় জমি ক্রেতাদের। অতিরিক্ত এ টাকা দলিল লেখক সমিতিতে জমা দিলেই তবে জমি রেজিস্ট্রি করতেন সাব-রেজিস্ট্রার।
এ বিষয়ে দুদকের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া বলেন, আমরা অভিযুক্ত ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছি। তদন্ত করে রিপোর্ট প্রেরণ করেছি, কী রিপোর্ট দিয়েছি আপাতত বলার সুযোগ নেই। ধোবাউড়া সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দলিল লেখকের সংখ্যা ১০৬। এদের মধ্যে অনেকে রাজনৈতিক দলের নেতা।
অভিযোগের বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার মো. রায়হান হাবীব বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও মনগড়া। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান বিপ্লব বলেন, আমরা সরকারি ফিসের বাইরে গিয়ে দলিল মুসাবিদা করার সুযোগ নেই, অভিযোগটি মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রার আমাকে এবং ডিসি স্যারকে বিষয়টি লিখিত আকারে অবগত করেছেন।