লালমনিরহাট সদর উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ইসমাইল হোসেন (৬৩) ও মনজুর আলম (৪০)।
শুক্রবার সকালে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের গ্রেপ্তার করেন। এর আগে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এরশাদুল আলম তা দেখে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন।
জানা গেছে, বুধবার লালমনিরহাট সদর উপজেলার দূরাকুটি বাজারের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সামনে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করছে কয়েকজন। তাদের মারধরে ওই যুবক চিৎকার করলেও তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউ। উপস্থিত লোকজন ঘটনার প্রতিবাদ না করে সে দৃশ্য দেখছেন ও ভিডিও করেছেন।
এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এরশাদুল আলম তা দেখে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেন।
এ বিষয়ে ওসি এরশাদুল আলম জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবকের নাম আমিনুল ইসলাম (২৪)। তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলার পূর্ব দোলজোর সাকোয়ার পাড় গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় ওই যুবকের মা মমেনা বেগম বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে লালমনিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসমাইল হোসেন (৬৩) ও মনজুর আলম (৪০) নামে মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আমিনুল ইসলাম জন্মগতভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন। দূরাকুটি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পাগলের মতো ঘোরাফেরা করেন আমিনুল। রাতে রাস্তা বা হাটবাজারে অবস্থান করেন তিনি। এলাকার লোকজনকে মেরেছেন তিনি এমন কথিত অভিযোগে বুধবার সকালে দূরাকুটি বাজারের একটি গাছে তাকে রশি দিয়ে বাঁধে স্থানীয় লোকজন। পরে তাকে লাঠি দিয়ে বেদম মারধরে করে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, ভিডিও দেখে পুলিশ তৎপর হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।