কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, স্বাধীনতার পরে অনেক অন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদ-বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারবে না। বাংলাদেশ এখন আর বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল নয়। বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বব্যাপি খ্যাতি অর্জন করেছে।
আজ শনিবার রাজধানীর নটরডেম কলেজ প্রাঙ্গনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রি বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ২০০৮ সালের সরকার ভিশন-২০২১-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিল তার বাস্তাবায়ন হয়েছে। দেশে দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। হার্ভার্ড-ক্যামব্রিজের অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। ‘
পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশকে কারো দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না বলে মন্তব্য করেন ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার সর্বদা সচেষ্ট ছিল। ডিম-দুধ-মাংস উৎপাদনে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। একইসাথে জনগণের মাথাপিছু আয়ও ২৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। ‘
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর প্রশংসা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি। স্বাধীনতার পর থেকে দারিদ্র্য বিমোচনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো সরকারের অংশীদারদের ভূমিকা পালন করেছে। ৫০ বছর ধরে কারিতাস দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা এমন অবকাঠামোগত উন্নয়নেও ভূমিকা পালন করেছে। কারিতাস ও তার সকল দাতা বন্ধুদের আমি ধন্যবাদ জানাই। ‘
কারিতাসের প্রধান নির্বাহী সেবাস্তিন রোজারিওর সভাপতিত্বে সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ও বিশেষ অতিথি কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও। আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী, সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, কারিতাস এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. বেনেডিক্ট আলো ডি’রোজারিও প্রমুখ।