ইউক্রেন সীমান্তের কাছে পোল্যান্ডের এক গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন। এই হামলার কারণে ইউরোপজুড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো এবং শিল্পোন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর জোট জি-৭।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলোতে এ ঘটনার জন্য রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রকে দায়ী করা হলেও পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দজেই ডুডা বলেছেন, এ ঘটনার জন্য দায়ী কে তার অকাট্য প্রমাণ নেই। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কারা ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করেছে, সে বিষয়ে এ মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো অকাট্য তথ্য-প্রমাণ নেই। এটি সম্ভবত রাশিয়ার তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। তবে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন।
ইতোমধ্যে মস্কো এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সিএনএনকে বলেছেন, পোল্যান্ডের ঘটনা সম্পর্কে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ন্যাটো ও বিশ্ব নেতারা মিলিত হয়েছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জি ৭ ভুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি, ব্রিটেন ও জাপানের নেতাদের পাশাপাশি স্পেন ও নেদারল্যান্ডের নেতারাও জরুরি এ বৈঠকে যোগ দেন। জি ২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে তারা সবাই এখন বালিতে আছেন।
এ বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্ভবত রাশিয়া থেকে ছোড়া হয়নি। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্ররা ঘটনাটির তদন্ত করে দেখছে।
সীমান্তে বিস্ফোরণের বিষয়ে এক বিবৃতিতে পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে দেশটির ভূখণ্ডে ‘রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র’ এসে পড়ে। এতে সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে দুজন নিহত হন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লুকাস জাসিনা বলেছেন, এ ঘটনায় অনতিবিলম্বে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে পোল্যান্ডে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে।
তবে বিবৃতিতে কোন দেশ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাশিয়া ইউক্রেনজুড়ে প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এরপর পোল্যান্ডে এই হামলার ঘটনার খবর এলো।