মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজারো ভক্ত, অনুসারি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। ফুলে ফুলে ঢেকে যায় তার সমাধি।
সকাল সাড়ে ৭টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যাসেন্সল অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। এর পর ভাসানীর পরিবারের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।
সকাল পৌনে ১০টায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীকের নেতৃত্বে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।
পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের), টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।
বিএনপির পক্ষে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।
দুপুরে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী এবং গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিলুজ্জামানের নেতৃতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এ ছাড়া টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, মুরিদান, ভক্তসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন সকাল থেকে সারাদিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ক্যাম্পাসে অবস্থিত শাহ্ নাসিরউদ্দিন বোগদাদি এতিমখানায় কুরআন খতম ও এতিমদের জন্য খাবার পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া ভাসানীর মাজারের অদূরেই দরবার হলও আশপাশের এলাকায় তিন দিনব্যাপী মেলা বসেছে।