কাতার বিশ্বকাপ যেন আকাশভরা তারা। লিওনেল মেসি, নেইমার, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, কিলিয়ান এমবাপ্পে, করিম বেনজেমা থেকে শুরু করে হ্যারি কেইন, রবার্ট লেওয়ানডোস্কি, ম্যানুয়েল নুয়ার, কেভিন ডি ব্রুইনা- অনেক নক্ষত্র আলো ছড়াবেন কাতারের আকাশে। তারপরও এমন কয়েকজন আছেন, যাদের শূন্যতা হয়তো খোদ বিশ্বকাপ অনুভব করবে। নানা কারণে এবারের আসরে দেখা যাবে না ইউরোপের ক্লাব ফুটবল মাতানো একঝাঁক তারকাকে। নেই দুর্ভাগাদের তালিকায় প্রথম নাম নিঃসন্দেহে আর্লিং হলান্ড।
এ মৌসুমে ম্যানসিটির হয়ে বিধ্বংসী ফর্মে আছেন ২২ বছর বয়সি নরওয়ের ফরোয়ার্ড। ১৩ ম্যাচে করেছেন ১৮ গোল। কিন্তু হলান্ডের দেশ নরওয়ে পারেনি বাছাই পেরিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে। হলান্ডের মতো তার জাতীয় দলের সতীর্থ মার্টিন ওডেগার্ডিও বুকে পাথর চেপে পরের বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে। ওডেগার্ডের নেতৃত্বে এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে আর্সেনাল। হলান্ডের ক্লাব সতীর্থ রিয়াদ মাহারেজকেও দেখা যাবে না কাতারে। তার দেশ আলজেরিয়া বাদ পড়েছে বাছাইপর্ব থেকে। মাহরেজের মতো ঘরে বসে কাতার বিশ্বকাপ দেখবেন আফ্রিকার সেরা দুই ফুটবলার মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে। মানের সেনেগালের কাছে হেরে বাছাইপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে সালাহর মিসর। আর মানেকে ছিটকে দিয়েছে চোট।
ফ্রান্সের দুই তারকা মিডফিল্ডার পল পগবা ও এনগোলো কান্তেকেও দর্শক বানিয়ে দিয়েছে চোট। বাছাইয়ে সুইডেনের ব্যর্থতায় জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচের মতো বর্ণময় চরিত্রকে দেখা যাবে না কাতারে। স্পেনের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি সের্হিও রামোস ও ডেভিড ডি হেয়ারও। ব্রাজিল দল থেকে বাদ পড়েছেন লিভারপুল তারকা রবার্তো ফিরমিনো। ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি আবারও বিশ্বকাপের ট্রেন মিস করায় জিয়ানরুইজি দোন্নারুমার মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা গোল কিপারকেও দেখা যাবে না কাতারে। বাছাই থেকে কলম্বিয়ার বিদায়ে কপাল পুড়েছে রাদামেল ফ্যালকাও, হামেস রদ্রিগেজ ও লুইস দিয়াসের। চিলির বিদায়ে দর্শক হয়ে গেছেন অ্যালেক্সিস সানচেজ ও আর্তুরো ভিদাল। এই দুর্ভাগাদের নিয়ে একটা দল গড়লে সেই দল হতে পারত শিরোপার অন্যতম দাবিদার।