টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অংশ নিয়ে যমুনার বুকে ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর অবকাঠামোর কাজ। নির্মাণাধীন সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ১৩টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ৪৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করার তাগিদে কাজ এগিয়ে চলছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নির্মাণকাজ নদীর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ প্রান্তে চলছে। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী আর দক্ষকর্মীরা রাত-দিন পালা করে পাইলিং ও সুপারস্ট্রাকচার বসানোর কাজ করছেন।
রেল সেতুর পূর্বে টাঙ্গাইল অংশে ২৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওটিজি এবং পশ্চিম সিরাজগঞ্জ অংশে ৫০ নম্বর পিলার পর্যন্ত কাজ করছে আইএইচআই। তবে সেতুর পশ্চিম অংশের চেয়ে পূর্বের অংশে কাজের অগ্রগতি বেশি। পশ্চিম অংশে এখনো সেতুর দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।
জানা গেছে, জাপান ও বাংলাদেশের অর্থায়নে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে কনস্ট্রাকশন কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে ৬ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা প্রকল্প কাজে ব্যয় হয়েছে। সব মিলিয়ে সেতুর ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৪৭ ভাগ।
এ ছাড়া সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ১৩টি পিলারের কাজ এর মধ্যে শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ৪৯টি স্প্যানের মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে ৬টি।
এদিকে রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজের পাশাপাশি পূর্ব অংশে রেল সড়কের কাজও শুরু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু রেলওয়ে সেতুর অতিরিক্ত পরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল ইসলাম জানান, পাশাপাশি দুটি সেতুর কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে অতিরিক্ত চর তৈরি সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। খণ্ড খণ্ড চর জেগে উঠায় কাজের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তার পরও দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা প্রকল্প কাজে ব্যয় হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়েই নির্মাণকাজ শেষ করার আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়তে পারে, তবে এখনই বলা যাচ্ছে না। সেতুটির কাজের অগ্রগতি ৪৬ শতাংশ হয়েছে।