সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিল ১-০ গোলে জেতার পরপরই ফিফা প্লাসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রোনালদোর শোতে ডাক পড়ে তরুণ রোদ্রিগোর। স্টুডিওতে গিয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়া শেষ হতেই রিয়াল মাদ্রিদের ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো এক কাজই করে বসেন। ২০০২ সালে ব্রাজিলকে শেষবার বিশ্বকাপ জেতানোর নায়ক রোনালদোর দুই পায়ে ছোঁয়ান নিজের হাত। সেখানেই থামেন না, ‘দ্য ফেনোমেনন’-এর পা ছোঁয়া হাত বোলান নিজের দুই পায়েও।
বিজ্ঞাপন
যেন রোনালদোর পায়ের জাদুর কিছুটা নিজের মধ্যেও সঞ্চারের চেষ্টা রোদ্রিগোর।
সাক্ষাৎকারের শেষে একে অন্যের সঙ্গে হাত মেলান প্রথমে। এরপরই রোদ্রিগো সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যে রোনালদোর পা ছুঁয়ে হাত ছোঁয়ান নিজের পায়েও। ঘটনাটি আকস্মিক হলেও ২০০২ বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে দুই গোল করা রোনালদো চমকে না গিয়ে বরং অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন। তাঁর গোল করার জাদুকরী ক্ষমতা অর্জনের কথাও তখন রোদ্রিগোকে বলতে শোনা যায়, ‘এখান থেকে (রোনালদোর দুই পা) আমিও কিছুটা নেব। ’
সাক্ষাৎকারে উঠে আসে কাসেমিরোর গোলের পেছনে রোদ্রিগোর অবদানও। গোলের বিল্ডআপে শুরুতে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আর রোদ্রিগোর মাঝামাঝিই ছিলেন কাসেমিরো। নিজের সতীর্থকে তখন সরে যেতে বলার গল্প শোনান রোদ্রিগো, ‘‘মাঠে আমি সব সময়ই কাসের সঙ্গে কথা বলি। আমি ওকে চিৎকার করেই বলছিলাম, ‘সরে যাও। ’ সে সরে যায় এবং নিজের জন্য জায়গাও বানিয়ে নেয়। ’’ কাসেমিরো ঢুকে যান সুইজারল্যান্ডের বক্সের ভেতর। ভিনিসিয়ুসের কাছ থেকে বল আসামাত্রই বক্সের ঠিক বাইরে থাকা রোদ্রিগো ফ্লিক করে পাঠান কাসেমিরোর কাছে, জোগান পেতে না পেতেই বুলেট গতির ভলিতে ব্রাজিলের জয়সূচক গোল!