চীনের সাংহাইয়ে করোনাভাইরাস বিধিনিষেধবিরোধী বিক্ষোভ চলা অবস্থায় বিবিসি’র একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে নির্যাতনেরও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জেরে লন্ডনে চীনা রাষ্ট্রদূত ঝেং ঝেগুয়াংকে ডেকে পাঠিয়েছে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি ‘গভীর উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। সাংবাদিকদের যেকোনো হুমকি ও আতঙ্ক ছাড়াই কাজ চালিয়ে যেতে পারা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত রবিবার রাতে সাংহাইয়ে বিক্ষোভ চলা অবস্থায় চীনা পুলিশ খবর সংগ্রহকারী বিবিসি’র সাংবাদিক লরেন্সকে আটক করে। পরে বিবিসি জানায়, মুক্তি দেওয়ার আগে পুলিশ তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছে।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা এ ঘটনাকে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ বলেছেন। তবে চীন সরকারের দাবি, সাংবাদিক লরেন্স নিজ থেকে তার সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র দেখাননি।
স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, লরেন্সকে মাটিতে চেপে ধরেছে কয়েকজন পুলিশ সদস্য। বিবিসি জানিয়েছে, পুলিশ তাকে মারধর করেছে, লাথি দিয়েছে এবং হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে গেছে। কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণ ‘চরম উদ্বেগজনক’ বলে বর্ণনা করেছে বিবিসি।
ব্রিটনের হাউস অব কমন্সে পররাষ্ট্র বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড রুটলি বলেছেন, এ ধরনের অগ্রহণযোগ্য এবং অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে পরিষ্কার বার্তা দিতে চীনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর পূর্ণ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দরকার।