সাত বছর চুটিয়ে প্রেম করে ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের বাসিন্দা মাহিম করিমকে বিয়ে করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারিকা। সেই ঘরে একটি মেয়েও আছে তার। কিন্তু ২ বছরের মাথায় সারিকার সেই সংসার ভেঙে যায়।
ডিভোর্সের পর কিছুটা ছন্নছাড়া হয়ে পড়েন সারিকা। অভিনয় থেকে কিছু সময় দূরে ছিলেন। নতুন করে কোনো সম্পর্কেও জড়াননি।
পাঁচ বছর পর আবারও বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন নায়িকা। ক্যালেন্ডার ঘেঁটে শুভদিন দেখেই বিয়েটা করেছিলেন সারিকা। ০২.০২.২২, মানে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ। ভেবেছিলেন, মিলে যাওয়া সংখ্যার মতো জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বাকি পথটা মিলেমিশেই চলতে পারবেন। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই!
দ্বিতীয় বিয়ের সময় বলেছিলেন, প্রেম করে বিয়ে করে ভুল করেছেন। সে কারণে এবার অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করেছেন।
সারিকার দ্বিতীয় সংসার জীবনে সুখ বেশি দিন টিকেনি।
বছর না ঘুরতেই তার সংসারে ভাঙনের সুর। বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামীর কাছ থেকে দূরে আছেন সারিকা। থাকছেন মা-বাবার সঙ্গে। স্বামীর প্রতি তিক্ততা এত তীব্র হয়েছে যে আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হলেন অভিনেত্রী।
যৌতুক দাবি ও মারধরের অভিযোগে স্বামী জি এস বদরুদ্দিন আহমেদের (রাহী) বিরুদ্ধে বুধবার মামলা করেছেন সারিকা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রাহীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার কারণ জানিয়েছেন সারিকা। তিনি যুগান্তরকে বলেন, আসলে একটা মানুষ কখন থানা-আদালতের দ্বারস্থ হয়? যখন কেউ তার পাশে থাকে না। একদিকে স্বামী জিএস বদরুদ্দীন আহমেদ রাহীর নির্যাতন অন্যদিকে পরিবার-পরিজন পাশে না পাওয়া। বিশেষ করে স্বামী সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবার যদি আমাকে সাপোর্ট দিত তাহলে বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়াত না।
স্বামী নির্যাতন করত জানিয়ে এই নায়িকার ভাষ্য, সে (স্বামী) আমাকে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক-সব দিকেই টর্চার করেছে। আমি তার স্ত্রী, আমি একজন শিল্পী, আমাকে সে যেভাবে টর্চার করেছে তা সহ্য করার মতো নয়। আমাদের বিয়ের সময় ২০ লাখ টাকা দেনমহর ধার্য করা হয়। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, আসবাবসহ সাংসারিক জিনিসপত্র দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই সে আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। আমার পরিবার থেকে তার জন্য টাকা আনতে বলে। আমি রাজি হইনি বলে সে আমাকে অকথ্য গালাগাল করে, মারধর করে। এ জন্যই আমি মামলা করেছি।
এ ঘটনার কারণে সংসারের ইতি টানছেন নাকি—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আমার ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মামলা করেছি, সেটির বিচার আদালত করবেন। আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি। আদালত বিচার করার পর ইতি টানা বা অন্য কিছু নিয়ে ভাবব।