জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় হস্তান্তর করেছে শিক্ষার্থীরা।চালককে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে তার রিকশা ছিনতাইকালে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।
রোববার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টারজান পয়েন্ট থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে চেতনানাশক ওষুধ পাওয়া গেছে।
আটকরা হলেন- শামীম আহমেদ সোহাগ (৩২) ও মো. মামুন মিয়া (৩৫)।তারা সাভারের কুটুরিয়ার ধলপুর এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা।শামীমের বাবা চাঁদপুরের হাইমচরের মৃত আব্দুল কাইয়ুম।আর মামুন মিয়ার বাবার নাম নুরু মিয়া।
ভুক্তভোগী রিকশাচালক মো. শাহীন আলম সাভারের বক্তারপুর এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায়। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক তপু সুলতান বলেন, টারজান এলাকায় রিকশাচালককে জুস খাওয়ানোর বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে সেখানকার চটপটি বিক্রেতা রুবেল মিয়া আমাদেরকে বিষয়টি জানায়। ঘটনার সত্যতার জন্য রিকশাচালকসহ ওই দুই ছিনতাইকারীকে কিছু সময়ের জন্য পর্যেবক্ষণে রাখা হয়। ২২ মিনিট পর রিকশাচালক বমি করে এবং অজ্ঞান হয়ে যায়। এরমধ্যে বিষয়টি নিরাপত্তা শাখাকে জানাই।
আটক শামীম বলেন, সাভার থেকে রিকশা করে ক্যাম্পাসে আসি। টারজান এলাকায় এসে চালককে ১০-১২টি ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস খেতে দিই। এ সময় ছাত্ররা বিষয়টি ধরে ফেলে। এর আগে আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও একটি রিকশা ছিনতাই করেছি।
নিরাপত্তা শাখা সূত্র জানায়, গত মাসে ১২ জন রিকশাচালককে অজ্ঞান করে রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বেশ কিছুদিন থেকে এই চক্রটি ছিনতাইয়ের কাজটি করে যাচ্ছে। এই চক্র রিকশা ছিনতাইয়ের পর সাভারের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার মিলন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে বলে জানা গেছে।
নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদেরকে আটক করে আমাদের জানালে অজ্ঞান পার্টির ওই দুই সদস্যকে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসি। শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলার আগে তাদেরকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।