বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের কোচের দায়িত্বে খুব চাপের মুখে ছিলেন গ্যারেথ সাউথগেট। সঙ্গে তার দলও। তবে কাতারে মাঠের লড়াই শুরু হতেই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়ের আগে বেশ উপভোগ্য ফুটবল খেলে কেইন-বেলিংহ্যামরা। তারপরও শেষটা তো সুখকর হয়নি, স্বাভাবিকভাবেই তাই সাউথগেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এই ইংলিশ কোচ অবশ্য এখনই এসব নিয়ে ভাবছেন না। তিনি বলছেন, সময় নিয়ে নিজেদের খেলা পর্যালোচনার পর এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
শেষ আটের লড়াইয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে গত শনিবার ২-১ গোলে হেরে শেষ হয়েছে ইংল্যান্ডের পথচলা। ‘বি’ গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউট পর্বে খেলা ইংল্যান্ড শেষ ষোলোয় সেনেগালকে ৩-০ গোলে হারায়। আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোল তাদেরই, ১৩টি।
ইংল্যান্ডের সঙ্গে সাউথগেটের চুক্তি আছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। ফ্রান্স ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে নিজের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে বলেন, এই বিষয়ে এখনই কিছু ভাবার পক্ষপাতী নন তিনি। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত ৫২ বছর বয়সী এই কোচ।
তিনি বলেন, এই টুর্নামেন্টগুলোয় অনেক প্রাণশক্তি ব্যয় হয় এবং পর্যালোচনা করার জন্য আমার সময় দরকার। প্রতিটি টুর্নামেন্টের পর আমরা তাই করেছি এবং এটাই সঠিক প্রক্রিয়া। খেলোয়াড়রা শুধু আজ (ফ্রান্সের বিরুদ্ধে) রাতেই নয়, পুরো টুর্নামেন্টে যা করেছে তাতে আমি গর্বিত। আমার চোখে, দলটি সামনে এগিয়ে যেতে সব ক্ষেত্রেই বাস্তবসম্মত সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। সবাই দেখেছে এই টুর্নামেন্টে দলটি উন্নতি করেছে।
আগে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের কোচের দায়িত্বে থাকা সাউথগেট ২০১৬ সালে সিনিয়র দলের কোচ হন। তার হাত ধরে ২০১৮ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলার পর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হয় সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বড় দুইটি টুর্নামেন্টে দল ভালো করলেও সাউথগেটের কোচিং নিয়ে প্রশ্ন থেমে ছিল না। বিশেষ করে প্রতিভাবান খেলোয়াড়ে ভরা দলটি থেকে তিনি সেরাটা বের করে আনতে পারছেন কিনা, তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই সংশয় প্রকাশ করেন কেউ কেউ।
সাউথগেটের বিরুদ্ধে সমালোচনা জোরাল হয় উয়েফা নেশন্স লিগের চলতি মৌসুমে গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচে জয়শূন্য (তিনটি করে ড্র ও হার) থেকে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় স্তরে নেমে যাওয়ায়। হাঙ্গেরির বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ গোলে হারের পর নিজেদের মাঠে ৪-০ গোলে হেরে যায় ইংলিশরা। ঘরের মাঠে ওই বিব্রতকর হারের পর কোচকে উদ্দেশ্য করে ইংল্যান্ডের সমর্থকরা স্লোগান দিয়েছিলেন এই বলে, ‘আপনি কী করছেন, তা আপনি নিজেও জানেন না।’