অপহরণ হওয়া ১৪ বছরের মেয়েকে উদ্ধার করে এলাকার ব্যক্তিদের সামনে পরিবার কাছে তুলে দেয় পুলিশ কিন্তু পুলিশের দালাল সেই অপহরণকারীর কাছেই মেয়েটিকেই বিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) এ বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পরে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার হুমায়ুন জানান, আমাকে ডেকেছিল আমি যায়নি। পাপ্পু মাদবর বিয়ে দিয়েছে। বাল্য বিবাহ হবে ভেবে আমি যাইনি।
যখন পাল্টা প্রশ্ন করা হয় শাহীন তো আপনার ভাগিনা তখন তিনি বলেন ছেলের নানার বাড়ি আমার ওয়ার্ডে। কিন্তু তার ভাগিনা এটা তিনি অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে দালাল পাপ্পু মাদবর জানান, পুলিশ আমার জিম্মায় দিয়ে যাওয়ার পরে মেয়ের বাবা মা মেয়েটিকে না নেয়ায় আমরা বিপাকে পরে যাই। পরে কাবিন ছাড়াই বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। মেয়ে এখন ছেলের বাড়িতে আছে।
পাপ্পু জানান, এসআই আনোয়ারকে টাকা দেয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন।
শ্রীনগর থানার এসআই আনোয়ার জানান, অভিযোগের আলোকে সুজনের মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। ছেলে শাহিন ওরফে জিসান পিতা দেলু। মেয়েটিকে উদ্ধার করে ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হুমায়ুন, মেয়ের বাবা সুজন ও পাপ্পু মাদবরের জিম্মায় দিয়ে আসি। পরবর্তীতে বিবাহ হয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই।
এ বিষয় এসআই আনোয়ার বলেন, অভিযোগের আলোকে আমরা থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করি। মেয়ের গার্ডিয়ানসহ এলাকার গন্যমান ব্যক্তিদের সামনে তাদের হাতে তুলে দেই। যখন প্রশ্ন করা হয় এলাকার গন্যমান্যদের কাছে তুলে দেয়া কি ঠিক ? তখন দারোগা আনোয়ার বলেন যেহেতু মেয়ের বাবাই নড়ে চড়ে না তা আমি কি করবো ? এলাকার মেম্বার হুমায়ুন ও পাপ্পু দালাল ছিল তাদের মাধ্যমেই মেয়েটি হস্তান্তর হয় বলেও জানান তিনি।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, এই মেয়েটি উদ্ধারের পরে পাপ্পু দালালই এসআই আনোয়ারকে দুই হাজার টাকা দিয়েছেন এবং মধ্য শিমপাড়ার (১নং ওয়ার্ডের) মসজিদের ঈমাম বিয়ে পরিয়েছেন, এই বিষয় বলার পরে এস আই আনোয়ার টাকার বিষয়ে অস্বীকার করেন।
যখন বলা হয় ১৪ বছরের একটি মেয়ের বিষয় থানায় অভিযোগ এবং তকে আবার উদ্ধার হওয়ার পরে আপনি তদন্ত অফিসার হিসেবে কি করা উচিৎ ? তখনই বার বার থানায় দেখা করার কথা বলে এমকি দুই হাজার টাকা নিয়েছেন তার প্রমাণ চাইতে থাকেন এবং বলেন, আমি আপনার কথা রেকর্ড করে রাখলাম বলে জানান। একপ্রযায় কোনো তর্থ্য লাগলে থানায় এসে ওসি সাহেবের সাথে কথা বলতে বলে ফোন কেটে দেন এসআই আনোয়ার।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলামকে এসআই আনোয়ারের ২০০০ টাকা নিয়ে বাল্য বিবাহ দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিককে বলেন, আমি শুনেছি আপনি নাকি এই বাল্য বিবাহ করিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারি জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জাননাল বিষয়টির খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।