কাতার বিশ্বকাপে হ্যারি কেইনের পেনাল্টি মিস নিয়ে এখনও সমালোচনা হচ্ছে। বিশ্বকাপ থেকে ইংল্যান্ডের ছিটকে যাওয়ার কারণ হিসেবে এটিকেই বলা হচ্ছে। রীতিমতো ভিলেন বনে গেছেন এই ফরোয়ার্ড।
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পেনালটি মিস করেন কেইন। ১-২ গোলে হেরে যায় ইংল্যান্ড। পেনালটি মিস না হলে গল্পটা অন্যরকম হতেও পারত। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ড দুটি পেনালটি পেয়েছিল।
প্রথম পেনালটি থেকে কেইন গোল করলেও, দ্বিতীয় পেনালটি তিনি নষ্ট করেন। এই পেনালটি কেন মিস্ করে বসলেন হ্যারি কেইনের মতো অভিজ্ঞ প্লেয়ার? এ নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে এর আসল কারণ উদ্ঘাটন করেছেন তার টটেনহামের সতীর্থ হুগো লরিস।
ফ্রান্সের অধিনায়কের সঙ্গে টটেনহামে খেলার সুবাদে বন্ধুত্ব রয়েছে তাদের। ক্লাবের সতীর্থ বন্ধু থাকার জন্যই কি পেনালটি মারতে গিয়ে চাপে পড়েছিলেন কেইন?
লরিস বলেছেন, ‘প্রথমত’ আমরা পরস্পরকে খুব ভালোভাবে জানি। দুজনের খেলা দুজনের নখদর্পণে। তাই পেনালটি আমাদের দুজনের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ও যেভাবে মারে সেভাবেই মেরেছে। প্রথমটায় গোল করেছে। ওর একটু বাঁ-দিকে মারার প্রবণতা রয়েছে। সেটা জানতাম বলেই ডানদিকে সরে গিয়েও দ্বিতীয়বার বাঁ-দিকেই ঝাঁপাই। ওকে চাপে ফেলার জন্যই সেটা করেছিলাম। তাতেই একটু চাপে পড়ে যায়। তাই জোরে মারতে গিয়ে বাইরে মেরে দিয়েছে।’
দল জেতায় লরিস খুশি হলেও বন্ধু কেইনের কথা ভেবে তার খারাপ লাগছে। তিনি বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ও পেনালটি মিস করেছিল। আমি জানি, ও মানসিকভাবে শক্তিশালী। এ
নিয়ে বেশিদিন বসে থাকবে না। এই কষ্টের মুহূর্তটা ওর সঙ্গে শেয়ার করতে পারি। ম্যাচের পর আমি অবশ্য এ নিয়ে হ্যারির সঙ্গে কথা বলিনি।’
ফ্রান্সের কাছে হারার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন কেইন। তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের প্রস্তুতিতে কখনো ফাঁক রাখি না। দ্বিতীয়বার পেনালটি মারতে যাওয়ার সময় আমার অন্যরকম কিছু মনে হয়নি। চাপও অনুভব করিনি। আত্মবিশ্বাসীই ছিলাম। তবু যা করতে চেয়েছিলাম, সেটা করতে পারিনি।