বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্থান সংকট দেখা গেছে হোটেল-মোটেলে।
সাপ্তাহিক ও বড়দিনসহ কয়েক দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় করছেন হাজারো পর্যটক। বুকিং হয়ে গেছে সব হোটেল-মোটেল। প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। হোটেল-মোটেলে জায়গা না পেয়ে অনেকে রাত কাটিয়েছেন আকাশের নিচে কিংবা পরিচিতদের বাড়িতে।
প্রতিবছর শীত মৌসুমে পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় করেন পর্যটকরা। তবে সাপ্তাহিক ও বড়দিন উপলক্ষে দীর্ঘ ছুটির কারণে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে বান্দরবানে। মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিক লেক শৈলপ্রপাত, চিম্বুক পাহাড়, নীলগিরিসহ দর্শনীয়স্থানে ভিড় করছেন তারা।
টানা ছুটিতে রাঙামাটিতেও আশানুরূপ পর্যটক পেয়ে খুশি হোটেল-মোটেল রিসোর্ট মালিকসহ পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জমজমাট হয়ে উঠেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্য। হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রেস্ট হাউসগুলোতে উঠতে পারছেন না ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে সড়ক-মহাসড়কে যানজট, অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া এবং অব্যবস্থাপনায় দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে ভ্রমণপিপাসুদের।
এদিকে, ছুটিতে সাগর কন্যা কুয়াকাটাতেও ঢল নেমেছে পর্যটকদের। তবে খাবার মূল্য ও হোটেল ভাড়া বেশি রাখার অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। কয়েক জন পর্যটক জানান, কুয়াকাটায় ঘুরতে এসেছি। তবে খাবারের দাম কিছুটা বেশি এবং পর্যটনের ভেতরের কানেক্টিং সড়কগুলো পাকা করা জরুরি।
এদিকে পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ।
এক সপ্তাহ আগেই কুয়াকাটার দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল এবং কটেজ বুকিং হয়ে যাওয়ায় অনেকে আত্মীয় স্বজন কিংবা স্থানীয়দের বাড়িতে রাত্রীযাপন করছেন।